করোনায় রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য ড. শিবলীর মৃত্যু
![করোনায় রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য ড. শিবলীর মৃত্যু](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/shibli-20201230113140.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ও ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী (৭৬) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই হাসপাতালে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ড. শিবলীর স্ত্রী নাজিয়া খাতুন ও বাসার কাজের মেয়ে ভর্তি রয়েছেন। ড, শিবলীর আত্মীয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ড. শিবলীর বাবা আবদুল হাই রাজশাহী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেন।
ড. শিবলীর স্ত্রী নাজিয়া খাতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বোন। নাজিয়া খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা উইমেন কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তার ছেলে শাকির যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ড. আতফুল হাই শিবলী নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালের ৩ জুলাই থেকে ১৯৯২ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এই অধ্যাপক ২০০৮ সালে অবসর নেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে অবসর নেন তিনি।
ড. আতফুল হাই শিবলীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের দিঘলবাক গ্রামে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বনানী জামে মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
অধ্যাপক ড. শিবলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী। শোকবার্তায় তিনি প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ/এমকেএইচ