যশোর হাসপাতাল থেকে না বলেই চলে গেছেন ১০ করোনা রোগী
কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দশজন করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ি চলে গেছেন। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত রয়েছেন। এভাবে না বলে করোনা রোগীদের চলে যাওয়ার খবরে জেলায় তোলপাড় চলছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) তাদের নাম ঠিকানা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করবেন।
হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, কয়েকদিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ১০জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত ছিলেন। তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
না বলে চলে যাওয়া রোগীরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার পাঁচপাবাড়িয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজপাড়ার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার সোনতলা গ্রামের মনোতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালী রাণী (৪০), খুলনার পাইকগাছার ভামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা চল এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা মহানগরের বিকে পূর্ব লেন এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকান্দ সরকার ও রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা আক্তার। এদের মধ্যে মনিমালা, মিলন হোসেন, শেফালি রানী, আমিরুল সানা, সোহেল সরদার, বিবেকানন্দ সরকার ও নাসিমা আক্তার ভারতফেরত।
করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত একজন সিনিয়র নার্স বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু রোববার সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বলেন, ‘করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে না বলে চলে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০জন রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত করোনা রোগী রয়েছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই ১০জনের নাম ঠিকানা রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’
মিলন রহমান/এসজে/জেআইএম