বাবাকে হত্যার পর মরদেহ মহাসড়কের ওপর ফেলে রাখে ছেলে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে হোটেল ব্যবসায়ী আজিজার রহমানকে (৫৫) হত্যা করেন ছেলে সোহান মৃধা (২১)। ঘটনাটি ভিন্ন খাত প্রবাহিত করতে হত্যার পর মরদেহ গোবিন্দগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের ওপর রাখা হয়। এ ঘটনায় আজিজারের প্রথম স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।
তিনি বলেন, নিহত আজিজার রহমানকে ১১ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার সময় তার প্রথম স্ত্রী সোহাগী বেগমের (৪৪) মেজো ছেলে সোহান মৃধা ডেকে নিয়ে যান। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আজিজারের রক্তাক্ত মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পান তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেনকা বেগম। এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি মেনেকা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ১৩ জানুয়ারি হত্যা মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই। ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার বকচর গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন আসামি আজিজারের ছেলে সোহান মৃধাকে (২১) গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সোহান আগে থেকে চলে আসা পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আজিজার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুই হাত লম্বা স্টিলের পাইপ, রক্তমাখা শার্ট ও গেঞ্জি সোহানের শোবার ঘর থেকে ও নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। যা মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল। সোহান তার বাবাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা বাসস্ট্যান্ড থেকে আজিজার রহমানের প্রথম স্ত্রী ও ছেলে সোহান মৃধার মা সোহাগী বেগমকে (৪৩) গ্রেফতার করে পিবিআই এবং একই দিন বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন বকচর গ্রাম থেকে সোহান মৃধার ছোট ভাইকেও (১৫) গ্রেফতার করা হয়।
জাহিদ খন্দকার/এসজে/জিকেএস