ঈদের দিনে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ঈদের দিনে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকাল গড়াতেই সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিকেলে তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউ বাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট এখন পর্যটদের পদচারণায় মুখরিত। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা যায় পর্যটকদের।
সৈকতে কেউ গোসল করছে, কেউ ছবি তুলছে, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছে। আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকত ঘুরছে।

খুলনা থেকে আসা সুমন চন্দ্র বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সোমবার আসছি। গতকালকে পর্যটক ছিল না কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পুরো সৈকত পর্যটকে ভরা। অনেক মানুষ, বেশ ভালো লাগছে।
শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে ছয় টিমের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসেরও একটি টিম কাজ করছে।
দীর্ঘ একমাস রোজায় কুয়াকাটায় পর্যটক কম ছিল তাই পর্যটক ব্যবসায়ীরাও অলস সময় পার করেছেন। কিন্তু আজ থেকে পর্যটক বাড়ায় ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত সময় পার করছে।

হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাসের পরিচালক আল-আমিন খান জাগো নিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। আজকে থেকে পর্যটক আসতে শুরু করছে। আগামী এক সপ্তাহ কুয়াকাটায় পর্যটদের থাকবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ঈদের ছুটিতে অনেক দিন পর কুয়াকাটা পর্যটকের ভিড়। সৈকত এখন পর্যটকে মুখরিত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পয়েন্টে ছয়টি টিম কাজ করছে। ছুটির দিনে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাই তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/জেআইএম