কারাগারে কাউন্সিলর খোরশেদ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও আবুল কাউসার আশাকে পৃথক দুই মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তারা দুজন আত্মসমর্পণ করে পৃথক মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট সাঈদা আক্তার শিউলি নামে এক নারী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় খোরশেদ হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত ছিলেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু বলেন, কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণ মামলা করেন। যে মামলার কোনো ভিত্তি নেই। ভিত্তিহীন একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে হাইকোর্ট থেকে আমরা চার সপ্তাহের জামিন পাই। জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠান।
এদিকে আবুল কাউসার আশা সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নিলয় আহমেদ বাবু হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিনে ছিলেন। জামিন শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশন দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূর বাধন বলেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। মূলত ওই ভুক্তভোগী পুলিশের ধাওয়ায় মারা গিয়েছিল। সে মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পাই। জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসজে/এমএস