৩ প্রবাসীর মৃত্যু: বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলেনি ফরেনসিক প্রতিবেদনে
সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবাসহ দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ফরেনসিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা) মো. লুৎফর রহমান জানান, ঢাকা থেকে আসা রাসায়নিক পরীক্ষা ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক পরীক্ষায় মরদেহে কোনো ধরনের চেনতানাশক বা খাদ্য বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, নিহতদের শরীরে কোনো বিষক্রিয়া বা চেনতানাশক ব্যবহারের প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া শরীরের বাহ্যিক বা ভেতরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে ‘রহস্যজনক ও অজ্ঞাতকারণে’ মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অজ্ঞাতকারণের মধ্যে অক্সিজেন স্বল্পতাও একটি কারণ হতে পারে।
এর আগে ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরে মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত হাই স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার যুক্তরাজ্য প্রবাসী একই পরিবারের ৫ সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। তাদের হাসপাতালে পাঠানোর পর ওইদিনই মারা যান রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম। এর ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদিয়া ইসলাম।
ছামির মাহমুদ/আরএইচ