রংপুর মেডিকেলের চিকিৎসকই তুললেন রোগী হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকই এবার তুললেন রোগী হয়রানির অভিযোগ। সাধারণ মানুষ যেখানে প্রতিনিয়ত এমন হয়রানির শিকার হয়ে প্রতিকার পাচ্ছেন না সেখানে একজন চিকিৎসকের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই অভিযোগের কপিটি শেয়ার করে এর প্রতিকারের দাবি তুলছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমেক হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এ বি এম রাশেদুল আমীর তার অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে বকশিস সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, রমেক অধ্যক্ষ, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও।

অভিযোগে রাশেদুল আমীর উল্লেখ করেন, ‘১৭ সেপ্টেম্বর মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য ২৫০ টাকা দাবি করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় জানতে পেরে তারা ৫০ টাকা ভর্তি বাবদ নেন। যদিও হাসপাতালে নির্ধারিত ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তার মা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে ভর্তি ফি না নেওয়ার কথা।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ভর্তি পরবর্তী সিসিইউতে মাকে নেওয়া হলে সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত দুজন জোরপূর্বক তার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা বকশিস নেন। এ সময় আমার নাম-পরিচয় এবং রোগী সম্পর্কে জানানো হলে তারা বলেন ‘স্যারের মা হোক আর যেই হোক টাকা দিতে হবে’। পরবর্তীতে আমি রাতে আসার পর মায়ের শয্যা পাশে অবস্থানকালে সিসিইউতে কর্মরত ওয়ার্ড বয় পরিচয়ধারী মাসুদ আমার কাছে সরাসরি টাকা দাবি করে। এ সময় আমি সেই কথাবার্তার কিছু মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করি। এ ঘটনা আমার কাছে অত্যন্ত মানসিক পীড়াদায়ক এবং অপমানকর। যে প্রতিষ্ঠানে আমি সেবা দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি তা সত্যি দুঃখজনক।’

‘আমি নিজে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা হয়েও যদি হয়রানির শিকার হই, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা তো সহজেই অনুমেয়।’

অভিযোগের বিষয়টি যথাযথ অনুসন্ধান পূর্বক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের হয়রানি বন্ধ এবং সেবার মান বৃদ্ধিতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান রাশেদুল আমীর।

এ বিষয়ে (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিতু কবীর/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।