বিএনপির সমাবেশ
খুলনায় অঘোষিত হরতাল, নিরাপত্তা জোরদার
অডিও শুনুন
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা নগরীতে যেন অঘোষিত হরতাল চলছে। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল। অনেকটা ফাঁকা রাস্তাঘাট। বন্ধ আছে নৌযান চলাচলও।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হেঁটে, মাইক্রোবাসে, ট্রাকে, মোটরসাইকেলে খুলনা নগরীতে আসছেন। পরে মিলিত হয়ে মিছিল নিয়ে খুলনার ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন সমাবেশস্থলে।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে পিকচার প্যালেস, ডাকবাংলো, থানা মোড়, ক্লে রোড, মহেন্দ্র দাসের মোড়, স্টেশন রোডসহ আশপাশের এলাকার প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নাশকতা এড়াতে আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে সমাবেশ মঞ্চ থেকে পরিবেশন করা হচ্ছে দেশাত্মবোধক ও দলীয় সঙ্গীত। এতে করে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নেতাকর্মীরা একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন।
বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে গঠিত উপ কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, সমাবেশ স্থলে আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে জনতার ঢল নেমেছে।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, বুধবার খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভায় পরিবহন দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। তাই এসব যান বন্ধের দাবিতে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুদিন মালিক সমিতির সব গাড়ি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের দাবি, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
আলমগীর হান্নান/এসজে/এএসএম