বাড়ির ছাদে মুরগির খামার করে সফল মাস্টার্স পরীক্ষার্থী

লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া কঠিন—এমন শঙ্কা থেকে ছাদের ওপর ফাউমি মুরগির খামার করেছেন মাস্টার্স পরীক্ষার্থী এস ডি শান্ত। এরই মধ্যে তিনি সফলও হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জামুরা গ্রামে শান্তর বাড়ি। পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট বেতারের একজন নিয়মিত শিল্পী।
মা-বাবা ও তিন বোন নিয়ে শান্তর পরিবার। গান গেয়ে সামান্য আয় থেকেই সংসার চলতো। তারপরও লেখাপড়া থেমে থাকেনি। একসময় মাথায় চিন্তা আসে শিক্ষাজীবন শেষ করে কী করবেন। বর্তমানে চাকরি পাওয়া কঠিন। চাকরির পেছনে টাকা খরচ করে বেকারত্ব দূর হবে না। এমন চিন্তা থেকেই এক বছর আগে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নিজ ঘরের ছাদের ওপর ৩০০টি ফাউমি মুরগির খামার করেন শান্ত।
শান্তর খামারে এখন প্রায় ৫০০ মোরগ ও মুরগি রয়েছে। মোরগ ও ডিম বিক্রি করে মাস আয় করছেন ২৫-৩০ হাজার টাকা।
জামুরা গ্রামের বাসিন্দা সত্যন্দ্র দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘শান্ত গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি খামার করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। তরুণদের উচিত তাকে অনুসরণ করা।’
এ বিষয়ে এস ডি শান্ত জাগো নিউজকে বলেন, ‘লেখাপড়া শেষ হবে কিন্তু চাকরি জুটবে না সহজে। চাকরির পেছনে টাকা খরচ করার চেয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চিন্তায় মুরগির খামার করেছি। পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছি।’
মৌলভীবাজার পশুসম্পদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা সিনতিয়া কবির বলেন, ফাউমি মুরগির খামার গৃহস্থালি পরিবেশেই সম্ভব। এ প্রজাতির মুরগি অনেকটা দেশীয় জাতের মতো দেখা যায়। এর ডিম ও মাংস সুস্বাদু। মোরগ ও ডিম বিক্রি করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
আব্দুল আজিজ/এসআর/জিকেএস