২০০ রকমের অর্কিড ফুলের সমাহার মোহাম্মদ আলীর আঙিনায়
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্কিড চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি ও উপকরণ ব্যবহার করে বাড়ির আঙিনায় অর্কিডের চাষ শুরু করেন তিনি। পাঁচ মাসের ব্যবধানে পেয়েছেন সফলতা। তার আঙিনা ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার বাগানে ২৫ জাতের অর্কিড রয়েছে। ফুলের ধরণ ও রঙ প্রায় ২০০ রকমের। মোট গাছের সংখ্যা বর্তমানে তিন হাজারের বেশি। শুধু মাঠ ফসল নয়, কৃষির এমন অনেক সেক্টর আছে যেগুলো বাড়ির আনাচে-কানাচেও করা সম্ভব। আর তার একটি বড় উদাহরণ অর্কিড। পরিত্যক্ত ছোট ছোট জায়গায় অর্কিড চাষ করে অনেক বেশিলাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। আর এ কথা ভেবেই আমি বাড়ির আঙিনায় এ অর্কিড ফুলের বাগান গড়ে তুলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার ইচ্ছা দামি ফুল হিসেবে পরিচিত অর্কিড ছড়িয়ে পড়ুক দেশের বাড়িগুলোর বারান্দায়-বারান্দায়। আর এই লক্ষে এরই মধ্যে আমি অনলাইনে পটস অ্যান্ড ফ্লোরা নামের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছি।
শিউলি নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, আমার ফুল খুব পছন্দ। তাই মোহাম্মদ আলীর বাড়ির আঙিনায় অর্কিড ফুলের বাগান দেখতে এসেছিলাম। এসে দেখি লাল, হলুদ, বেগুনি অর্কিডের সমাহার। এ যেন মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য। বাড়ির আঙিনায় যে এতো সুন্দর ফুলের বাগান হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করবে না অনেকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, মোহাম্মদ আলীর বাগানের অর্কিড স্বাস্থ্যবান এবং মানের দিক থেকেও বিদেশি অর্কিডের সমতুল্য। দেশে অর্কিডের ব্যাপক চাহিদা আছে চাষ বাড়িয়ে বীজ উৎপাদন করা গেলে অর্কিডের দাম সাধারণের হাতের নাগালে চলে আসবে। আর আমি আলীর বাড়ির আঙিনায় গিয়েছিলাম। তিনি কৃষি বিষয়ে পড়ালেখা করায় অনেক সুন্দর ভাবেই অর্কিড ফুলের চাষ করেছেন। ২০২১ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালকের পদ থেকে অবসরে যান তিনি।
সোহান মাহমুদ/জেএস/এমএস