শীতে জবুথবু তিস্তার ৬৩ চরের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

ঘন কুয়াশা ও শীতে জবুথবু তিস্তার পাড়ের ৬৩ চরের মানুষ। গত তিনদিন ধরে তীব্র শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্ট পাচ্ছেন। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে লালমনিরহাটে সূর্যের লুকোচুরি খেলা চললেও বেড়েছে হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত।

এদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে জেলার পাঁচ উপজেলা। অনেকে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

তিস্তা পাড়ের খাদেম আলী বলেন, শীতে তিস্তা পাড়ের মানুষ বেশি কষ্ট করেন। তাই সরকারি গরম কাপড় চরের মানুষের মাঝে বিতরণ করা প্রয়োজন।

আদিতমারী উপজেলার দুরাকুটি ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের শাহিনুর রহমান বলেন, গত তিনদিন থেকে সকাল বেলায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। রাস্তাঘাট কিছুই দেখা যায় না।

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল বলেন, ঠান্ডায় ভাড়া পাওয়া যায় না। পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে বেড়াতে হয়। এ কুয়াশা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ড তিস্তা নদী বেষ্টিত। পাঁচটি ওয়ার্ডে নিম্নের মানুষ বসবাস করেন। তাই এ এলাকায় জন্য সরকারি কম্বল বেশি বরাদ্দের জন্য আহবান করছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য জেলার চেয়ে লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা বেশি। এ পর্যন্ত এখানে প্রায় ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বল বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

রবিউল হাসান/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।