অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিলো শিশুর মরদেহ

ছয় বছরের শিশু সিনথিয়াকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেন প্রতিবেশী যুবক। পরে ওই শিশুকে হত্যা করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেনে লুকিয়ে রাখেন। চারদিন পর সিনথিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত আব্দুল কাদের (২০) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাতে গ্রেফতার আব্দুল কাদেরকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪। এর আগে শনিবার রাতে কাদেরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকার নুরুল হক সরকারের মালিকানাধীন টিনসেড বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেন থেকে শিশু সিনথিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে সিনথিয়াকে খেলতে দেখে তার পরিবার। এর কিছু সময় পর থেকেই নিখোঁজ হয় সিনথিয়া। পরে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করেন দুর্বৃত্তরা। কয়েক ধাপে কিছু টাকা সিনথিয়ার বাবা কয়েকটি মোবাইল নম্বরে পাঠান। এরমধ্যে র্যাবকে বিষয়টি জানালে মোবাইলে লেনদেনের সূত্র ধরে আসামির পিছু নেয় র্যাব। পরে আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে র্যাব শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) জামাল সিকদার বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের বিষয়টি সন্দেহ করছি, বাকিটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। এঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী শিশু সিনথিয়ার বাবা জসিনুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জসিনুর আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় নুরুল হক সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গ্রেফতার আব্দুল কাদের সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। আশুলিয়ায় জসিনুরের ভাড়া বাসার পাশেই বসবাস করতেন আব্দুল কাদের।
মাহফুজুর রহমান নিপু/কেএসআর