বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ চলাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে শরীফুল ইসলাম নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। শরীফুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ও পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

আরও পড়ুন: অশ্লীল ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি: চিকিৎসক গ্রেফতার

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ চলছে। দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস আগে ঢাকার মেসার্স অমি ইন্টারন্যাশনাল কাজটি পায়। চারতলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তিতে তিনতলা পর্যন্ত কাজ হবে।

অমি ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক সৈয়দ আলী আরিফ বলেন, ‘দরপত্র আহ্বান করলেও সীমানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়। তবে গত বছরের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। তখন থেকেই কাজের দায়িত্বে থাকা কারিগরি ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের কাছে বারবার শরীফুল ইসলাম চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।’

আরও পড়ুন: জুতা খুলে মারতে যাওয়ায় বাড়ির মালিককে হত্যা করেন ভাড়াটিয়া

আরিফ আরও বলেন, ‘রোববার রবিউল ইসলামের সঙ্গে আমি স্কুলে গেলে তিনটি মোটরসাইকেলে শরীফুলসহ ছয়জন আসে। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাদের কাছে ৩ লাখ টাকার পাশাপাশি দৈনিক ১ হাজার করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর ওইদিন বিকেলে স্থানীয় পেশকার এলাকায় আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শরীফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ আলী আরিফ বাদী হয়ে রাতে শরীফুলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজি মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ কোনো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। শরীফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রুবেলুর রহমান/এসজে/এএসএম