পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তালা দেখলেন এমপি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ পরিদর্শনে যান রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখতে পান হাসপাতালে তালা ঝুলছে। নেই কোনো চিকিৎসক ও কর্মচারী। শুধুমাত্র দুজন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশও বেশ নোংরা। নেই বাথরুমে যাওয়ার মতো পরিবেশ। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকার পর লোকজনের মাধ্যমে খবর দিয়ে ডেকে আনা হয় হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের।
আরও পড়ুন: সনদ দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমের সহ-ধর্মিণী সাহিদা হাকিম, কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য গোবিন্দ কুণ্ডু, পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর প্রমুখ।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারজানা ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমি ৩টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাই। কিছু সময় পরে এমপি আসার খবর পেয়ে ছুটে আসি। হাসপাতালে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। একজন মাস্টারোলের কর্মচারী দিয়ে কাজ করা হয়। তারা সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতার বিচার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
তবে কেন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে নেই এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, কালুখালী হাসপাতালে কোনো রোগী আসলে তাদের চিকিৎসা না দিয়েই রেফার্ড করা হয়। হাসপাতাল নোংরা, বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগী, দায়িত্ব পালন করে না চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পরিদর্শনে আসেন। এসে দেখি হাসপাতালে দুজন নার্স ছাড়া আর কেউ নেই। হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা হয়ে আছে। আমার হাসপাতালে আসার খবর শুনে চিকিৎসক-কর্মচারীরা এসেছেন।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ী আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনোয়ার, সম্পাদক রাজ্জাক
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমবার এমন হওয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এভাবে আবারও পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য সেবার মান যাচাই করা হবে।
রুবেলুর রহমান/জেএস//এমএস