খুলনায় সড়কে হচ্ছে ছয়লেন-ফ্লাইওভার, কমবে যানজট
অডিও শুনুন
বাড়ছে জনসংখ্যা, বাড়ছে যানবাহন। তবে বাড়ছে না সড়ক। ফলে খুলনা মহানগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে যানজট। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যানবাহন বাড়ায় প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়িয়ে যানজট অলিগলিতেও বিস্তার লাভ করছে। নগরীতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রুট নির্ধারণসহ একের পর এক পরিকল্পনা নিলেও কার্যত শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ফিরছে না। নগরবাসীকে যানজটের এ যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে আফিলগেট পর্যন্ত সড়ক ছয়লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
সম্ভাব্য দেড় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের মধ্যে ফ্লাইওভার ও একাধিক ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সওজ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, খুলনা-যশোর মহাসড়কের খুলনার ডাকবাংলো মোড়, ফেরিঘাট, পাওয়ার হাউজ, শিববাড়ী, নিউমার্কেট, জোড়াগেট, বয়রা কলেজ মোড়, বৈকালী মোড়, গোয়ালখালী মোড়, নতুন রাস্তা মোড়, দৌলতপুর বিএল কলেজের সামনে, রেলগেট, ফুলবাড়িগেট মোড়, শিরোমনি, জাহানাবাদ সেনানিবাস হয়ে আফিলগেট মোড় পর্যন্ত দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। যা সামলাতে ট্রাফিক পুলিশকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। মূলত রাস্তার পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতা না থাকায় এসব এলাকায় যানজট নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, যানজট নিরসন করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সওজ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সড়ক ছয়লেনে উন্নীতকরণের পাশাপাশি আফিলগেট ক্রসিংয়ে ইউ-লুপ নির্মাণ, ফুলবাড়িগেট, দৌলতপুর ট্রাফিক মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, নিউ মার্কেট মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ হবে। সড়কের মোড়ে পাবলিক বিশ্রামাগার, স্তন্যপানের স্থান, টয়লেট নির্মাণ এবং শিববাড়ী মোড়ে অস্থায়ী ইজিবাইক স্ট্যান্ড সরিয়ে মিডল্যান্ড ব্যাংক ও পচা পুকুরের মধ্যবর্তী স্থান স্থায়ীকরণ হবে। এছাড়া দৌলতপুর থেকে ফুলবাড়িগেট পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রস্তাব হয়েছে এ প্রকল্পে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ বলেন, নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ডাকবাংলো থেকে আফিলগেট পর্যন্ত সড়ক ছয়লেনে করতে হলে ফেরিঘাট মোড় থেকে পাওয়ার হাউজ মোড়, শিববাড়ি মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, জোড়াগেট মোড়, বয়রা ফায়ারসার্ভিস মোড় থেকে নুর নগর মোড় পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণও করতে হবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে সবধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হয়েছে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও খুলনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ডাকবাংলো থেকে আফিলগেট পর্যন্ত সড়কটি খুলনার অন্যতম প্রবেশদ্বার। সড়কটিতে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। সড়কটি ছয়লেনে উন্নীত হলে নগরীর যানজট কমে যাবে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমবে।
এসজে/এমএস