প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেও জাতীয়করণ হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কলেজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পরও জাতীয়করণ হয়নি নোয়াখালীর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ। শহীদ পরিবারের স্বজনদের দাবি, কলেজটি জাতীয়করণে তিন বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ মার্চ) বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সোনাইমুড়ীর গ্রামের বাড়িতে গেলে এমন অভিযোগ করেন স্বজনরা।
সরেজমিন জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সোনাইমুড়ীর নান্দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ। তখন থেকে এটি বিভিন্নজনের দান-অনুদানে চলে আসছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কলেজের আধুনিকায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করে সরকার। তবে জাতীয়করণ না হওয়ায় ধুঁকে ধুঁকে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহির উদ্দিন বলেন, ২০১২ সাল থেকে এটি জাতীয়করণ করতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো ফল আসেনি। সব মহল থেকে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অতিদ্রুত কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিনের বড় মেয়ে নুরজাহান বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০২০ সালের ২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কলেজটি সরকারিকরণে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিন বছর পরও প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিষয়টি দুঃখজনক।’
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা বেগম বলেন, বীরশ্রেষ্ঠের নামে অজপাড়াগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি জাতীয়করণ করা হলে এ এলাকার শিক্ষার মান বাড়বে। আমরা মেয়েরাও শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারবো।
আরেক শিক্ষার্থী বিলকিস আক্তার বলেন, জাতীয়করণের পাশাপাশি কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু হলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ ২০ কিলোমিটার দূরে মাইজদী গিয়ে আমাদের পক্ষে উচ্চশিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এছাড়া ৩৪ জন শিক্ষক ও ১৬ জন কর্মচারী রয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহীম বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের একমাত্র বীরশ্রেষ্ঠের নামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ রুহুল আমিন কলেজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে আছে। অচিরেই কলেজটি জাতীয়করণ করা হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম