রংপুরে এখনো কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

‘দাম না কমলে আমদানি করা হবে’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরও রংপুরের বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। সেইসঙ্গে কমেনি আলু, আদা ও চিনির দাম। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি, কাঁচামরিচসহ কিছু সবজির দাম। এছাড়া অপরিবর্তীত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, মাছ-মাংস ও তেল।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকা। যদিও শুক্রবার (১৯ মে) বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর সফরে এসে বলেছিলেন, দাম না কমলে দু’একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

এদিকে কাঁচামরিচের ঝাল কিছুটা কমেছে। ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে এখন ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৯০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা থেকে কমে ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৭০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৬৭০-৭২০ টাকা এবং খাসির মাংসের দাম বেড়ে ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

jagonews24

খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্র্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৩০-৩৫ টাকা, লেবুর দাম কমে প্রতিহালি ৮-১০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে দাম ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫-৬০ থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, দুধকুষি আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকা, পটল ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকা এবং কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আদা ২৩০-২৪০ টাকা থেক বেড়ে ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১০ টাকা কমে ১৪০-১৫০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ১৯০-২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু ২৮-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, সাদা দেশি আলু ৪০-৪৫ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, গত কিছুদিন সবজির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমছে না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা এবং দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

jagonews24

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৫-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৫৫-৬০ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১২০-১৩০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারে মুরগি কিনতে আসা গৃহিণী আসমা খাতুন বলেন, নিত্যপণ্যেও বাজার বেসামাল। একটার দাম একটু কমেতো আরেকটার দাম হু হু করে বাড়ে। এতে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কোনো লাভ হচ্ছে না। কেবল হা-হুতাশ করে কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।