একটি ফ্যান-দুটি লাইট, ৫৪২৩৭ টাকা বিলে দুশ্চিন্তায় মজিরন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ৩০ মে ২০২৩

কুড়িগ্রামের চিলমারীর বাসিন্দা মজিরন বেগম (৫২)। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কুষ্টারি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকেন। গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে তার সংসার চলে।

মজিরন বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে ঘরটিতে থাকেন তাতে রয়েছে একটি ফ্যান ও দুটি লাইট। এ মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা! ভূতুরে এ বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই নারী।

মজিরন বেগমকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুতের মে মাসের বিলের কাগজে দেখা যায়, তার বৈদ্যুতিক মিটারের বর্তমান রিডিং ৬৯৪৫। পূর্ববর্তী রিডিং ২৮৭৭। ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬৮। ২৭ মে জরিমানা ছাড়া বিল পরিশোধের তারিখ উল্লেখ করে তাকে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। একটি ফ্যান ও দুটি লাইটে বিগত মাসগুলোতে ২৩০-২৪০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এলেও চলতি মাসে এসেছে এ ভূতুড়ে বিল।

মজিরন বেগম বলেন, ‘আমারতো দুনিয়া ঘুরি গেইছে। এটা কেমন করি হয়? দুইটা লাইট আর একটা ফ্যান চালার বিল এত টাকা! আমি কেমন করি এই বিল দেবো? বিষয়টা আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানাইছি।’

চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘ওই মহিলা সকালে আমার অফিসে এসে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি চিলমারী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ওই মহিলা নিজে নিজেই বিদ্যুৎ মিটার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এ কারণে মিটার রিডিং অ্যাবনরমাল হয়েছিল। মূলত মিটার সমস্যার কারণে এ বিল এসেছে। আমরা এটার সমাধান করেছি।’

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।