কেসিসি নির্বাচন

প্রচারণায় এগিয়ে নারী কর্মীরা

আলমগীর হান্নান আলমগীর হান্নান খুলনা
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ০২ জুন ২০২৩

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রচার প্রচারণার জন্য এখনো ৮-৯ দিন সময় পাবেন প্রার্থীরা। তাই যতটুকু পারছেন নিজের প্রচারের জন্য প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নিজেরাতো যাচ্ছেনই সেইসঙ্গে তাদের কর্মী আর অনুসারীরাও ছুটছেন সমানতালে। প্রতিনিয়ত দিচ্ছেন নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি। দুপুরের পর থেকেই মাইকে বাজছে সুরে সুরে প্রার্থীদের গুণকির্তন আর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।

এবার প্রচারণার জন্য পুরুষ কর্মীদের চেয়ে নারী কর্মীদেরকেই বেশি বেছে নিয়েছেন প্রার্থীরা। খরচ কম হওয়ায় এই পন্থা অবলম্বন করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেক পুরুষ কর্মী।

তবে প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে নারী কর্মীরা এগিয়ে থাকলেও তাদের পারিশ্রমিক খুব কম বলে অভিযোগ করেছেন অনেক নারী কর্মী।

নগরীর একাধিক ওয়ার্ডে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, একজন পুরুষ কর্মীকে কাজে লাগাতে হলে তাকে কম করে হলেও ৫০০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু একজন নারী কর্মী পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

পারিশ্রমিকের বিষয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইমরুল হাসান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেদী হাসান খোকন ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মীর মোহাম্মদ লিটন বলেন, পুরুষ কর্মীর চেয়ে নারী কর্মীরা কাজ অনেক কম করেন। পুরুষ কর্মীরা একদিনে অনেকজনের কাছে যেতে পারেন। খরতাপের মধ্যেও কাজ করতে পারেন। সে কারনে তাদেরকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকাও দেওয়া হয়। আর নারী কর্মীরা সেই তুলনায় কাজ অনেক কম করেন। ফলে তাদের পারিশ্রমিক কম হয়ে থাকে।

তারা আরও বলেন, আমরা কাউকে কাজ করতে বাধ্য করি না। যারা এই পরিমাণ অর্থের মধ্যে কাজ করতে আগ্রহ দেখান তাদেরকেই কাজে নেওয়া হয়।

এদিকে নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের একাধিক নারী কর্মী বলেন, ‘সিডিসি’ নামক এনজিওর ফাঁদে ফেলে বিনা পায়সায় অনেককেই কাজ করানো হচ্ছে। বিনা টাকায় কাজ না করলে পরবর্তীতে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে কাজ করছেন।

সংরক্ষিত আসন ৫ এর কাউন্সিলর প্রার্থী তাসলিমা আক্তার, সংরক্ষিত আসন ১০ এর প্রার্থী জেসমিন পারভীন জলি ও সংরক্ষিত আসন ৯ এর কাউন্সিলর প্রার্থী নুপুর দাস অভিযোগ করে বলেন, সংরক্ষিত আসনের অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বর্তমান কাউন্সিলররা সিডিসি সমিতির নারী সদস্যদেরকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কাজে ব্যবহার করছেন। এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তবে এনজিওটি বেসরকারি হওয়ায় তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নিতে বলা হয়নি।

ওই মতবিনিময় সভায় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অপরদিকে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণায় গোটা নগরীকে উৎসবমুখর করে তুলেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাদের বিচরণ ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের চেয়ে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা সহজেই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন।

এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।