রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, যাত্রীদের কাজেই আসছে না যাত্রী ছাউনি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৯ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পথচারী, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের বিশ্রামের জন্য নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কোনোটি দখল করে নিয়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীসহ পথচারীরা।

জেলা পরিষদের তথ্যমতে, যাত্রীসহ মানুষের বিশ্রামের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে জেলা পরিষদের জায়গায় ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে মহাসড়ক, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় ৪০টি যাত্রী ছাউনি। পরবর্তীতে সময়ে আরও কিছু যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি যাত্রী ছাউনির নির্মাণ ব্যয় ছিল গড়ে ৩০ হাজার থেকে দেড়লাখ টাকা।

সরেজমিন দেখা যায়, ঝিনাইদহ সদরের চুটলিয়া মোড়ের যাত্রী ছাউনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর অযত্নে পড়ে আছে। এটি ভেঙে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। মধুপুর চৌরাস্তা বাজারের যাত্রী ছাউনিটি দখল করে পাকা করে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা বানিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী। হাটগোপালপুর, কালা বাজার, ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রী ছাউনিগুলোরও একই অবস্থা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও তা দেখভাল করা হয় না। ফলে এখানে বসা যায় না। যে যার মতো দখলে রেখেছে। অযত্নে পড়ে থাকা সরকারি এ সম্পত্তি দখল করে কেউ দোকান বসিয়েছেন। আবার কেউবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পাকা করে কাজে লাগাচ্ছেন নিজেদের প্রয়োজনে। ফলে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির সময় নারীরাও এখানে দাঁড়াতে পারেন না।

চুটলিয়া এলাকার কাশেম মণ্ডল জানান, এখানকার যাত্রী ছাউনিটি ১২-১৩ বছর হলো ভেঙে পড়ে আছে। এর ভেতরে কেউ আসতেও পারেন না, বসতেও পারেন না। যাত্রীরা গাড়ির জন্য আশপাশের দোকানগুলোতে বসে অপেক্ষা করেন। বৃষ্টির সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

চৌরাস্তা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সবুর মিয়া বলেন, ‘বাজারের যাত্রী ছাউনিটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে পড়তে পারে। কয়েকদিন আগে এখানে মোটরসাইকেল রাখার পর ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মোটরসাইকেলের ক্ষতি হয়।’

হাটগোপালপুর বাজার এলাকার সোলেমান হোসেন বলেন, ‘যাত্রী ছাউনিতে নোংরা পরিবেশ। ওর মধ্যে মানুষ বসবে কীভাবে? যারা বিচালির ব্যবসা করেন তারা এর মধ্যে বিচালি রেখে ব্যবসা করেন। অনেকে চেয়ার, টেবিল, বাইসাইকেলও রেখে দেন। কেউ কেউ চায়ের দোকান দিয়ে বসে আছেন। যাত্রী ছাউনিগুলো বেদখল হয়ে আছে।’

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশীদ বলেন, জরিপ করে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ছাউনি মেরামত ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।