সিলেট সিটি নির্বাচন
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়ার অভিযোগ

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ওই প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে শুক্রবার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল্লাহ। অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
এদিকে অস্ত্রসহ মহড়া দেওয়ার দৃশ্যের একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। অনেকে ওই ভিডিও ফুটেজে কমেন্ট করে ঘটনাটিকে মগেরমুলুক মন্তব্য করে আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নগরের ১৩/১৩ সুবিধবাজার দিঘিরপাড় কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেন ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে থাকা যুবকরা প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার মূল ফটকের দিকে গুলি করার ভঙ্গিমায় আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। ঘটনার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকে ওই স্থানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, বন্দুকধারী ওই যুবক হলেন মো. আবুল কালাম আজাদ তুহিন। তিনি আফতাবের অনুসারী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। এর আগে ২০২১ সালের ১২ মার্চ ওই যুবক র্যাব সদস্যদের হাতে পিস্তল-গুলিসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে সম্প্রতি তুহিন জামিনে বের হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান জাগো নিউজকে বলেন, আমি প্রতিদিনই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অস্ত্র প্রদর্শনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা সাজানো। প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর কোনো অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বন্দুক হাতে নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মো. আবুল কালাম আজাদ তুহিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে এসএমপি কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে আফতাব হোসেন খান (ঘুড়ি), মো. জাহিদ খান সায়েখ (ঠেলাগাড়ি) ও সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ (লাটিম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডসহ সিসিকের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
ছামির মাহমুদ/এসজে/এএসএম