কিশোরগঞ্জ

ছাত্রলীগের হামলায় আহত আওয়ামী লীগের দুই নেতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১০ জুন ২০২৩

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। আহতদের কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুন) রাত ৮টার দিকে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (রফিকুল মেম্বার) ও বুরুদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সরকার।

আরও পড়ুন: নিজ কারখানা শ্রমিকদের গরুর মাংস দিতে খামার করেছেন মাসুদ

পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ভিপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জে আসা উপলক্ষে পাটুয়াভাঙ্গার দরগাহ বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের বাসায় প্রস্তুতি সভা ছিল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশার পথ রোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদের অনুসারীরা হামলা চালান। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এখলাস উদ্দিন, বর্তমান সহ-সভাপতি আরমিন মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা পাপ্পু ও সাকিবুল হাসান মুন্নার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুরুদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সরকার গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে তাদের কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করা হয়নি। তবে আমরা মামলা করবো।

তিনি আরও বলেন, এর আগে ২২ মে বিকেলে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এলাকায় উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আলফাজ নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় জেলা পরিষদের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ভিপি শফিককে ১ নাম্বার আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের বুলবুলের উপহারের গরু গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আরমিন আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার আমরা এমপি নূর মোহাম্মদ স্যারের কটিয়াদির বাড়িতে গেছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে বুরুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পৌরসভার মেয়রকে নিয়ে বসেছিলাম। পরে বাড়িতে এসে আর বাহিরই হয়নি। তাছাড়া আমাদেরতো রাতে পাকুন্দিয়া বাজার ছেড়ে যাওয়াই নিষেধ। কারণ রাতের আধারে আমাকেই মির্জাপুর বাইপাসে স্টেপ করা হয়েছিল। আমাদেরতো ভয় আছে যেহেতু উল্টাপাল্টা সংঘর্ষ চলতেছে। তাই আমরা রাতে কোনো জায়গায় যাই না। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।'

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন জানান, এ বিষয়ে তিনি জানেন না অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসকে রাসেল/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।