নিখোঁজের ৬ দিন পর মিললো মরদেহ, ভাইয়ের দাবি হত্যা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৩

ভৈরবে নিখোঁজের ছয়দিন পর হেলিম নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-থানা পুলিশ।

শনিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি গ্রাম এলাকার মেঘনা নদীর কচুরিপানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হেলিম উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার আলকাছ মিয়ার ছেলে।

নিহতের ভাই সেলিম মিয়ার অভিযোগ পাওনা টাকা দাবি করায় দুই দালাল তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।

সেলিম মিয়া বলেন, এলাকার দালাল আলমগীর ও জাহাঙ্গীর আমাকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে এপ্রিলে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেয়। পরে তারা আমাকে লিবিয়া পাঠালেও আমি সেদেশ থেকে ফেরত আসি। দেশে এসে আমি তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং হুমকি দেয়। এই ঘটনায় ৯ জুলাই তার আমার ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এর পর থেকেই আমার ভাই নিখোঁজ ছিলেন। আমার ভাই হেলিম প্রতিবন্ধী ছিল, তার একটি হাত নেই। এ বিষয়ে ঘটনার দিন আমি ভৈরব থানায় একটি জিডি করেছি। জিডি করার ছয়দিন পর আজ তার মরদেহ মেঘনা নদীতে পাওয়া গেলো। এ ব্যাপারে আমি থানায় হত্যা মামলা করবো।

আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে এতিম করে চলে গেলেন জুবায়ের ঢালী

ভৈরব নৌ- থানার ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৩টায় মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত যুবকের ভাই সেলিম ৯ জুলাই থানায় অভিযোগ দিয়ে একটি জিডি করেছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় খবর পেলাম তার মরদেহ নৌ-পুলিশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজীবুল হাসান/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।