৩ ইউনিটের কমিটি ঘোষণা
রাজবাড়ী যুব মহিলা লীগ সম্পাদকের সই জালের অভিযোগ
দুই উপজেলা ও একটি পৌরসভার কমিটি ঘোষণা নিয়ে রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ রাজবাড়ীতে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার সেন্টি। তবে কেন্দ্রের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে সেই মানববন্ধন।
এদিকে ঘোষিত তিন ইউনিট কমিটির অনুমোদন প্যাডে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার সেন্টি তার সই জাল করার অভিযোগ করেছেন সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতীর দাবি, সম্পাদকের সঙ্গে একসঙ্গে বসে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে তিন ইউনিট কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। তার স্বাক্ষর জাল করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার সেন্টি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ‘জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তি’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজবাড়ী যুব মহিলা লীগের তিন ইউনিটের কমিটির ভুয়া অনুমোদনপত্র আমার নজরে এসেছে। রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের প্যাডে আমার সই ও সিল নকল করে সদর উপজেলা, গোয়ালন্দ উপজেলা ও গোয়ালন্দ পৌরসভার যুব মহিলা লীগের এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে তারিখও উল্লেখ ছিল না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
জানা যায়, গত সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা প্যাডে তিন বছরের জন্য রাজবাড়ী সদর উপজেলায় মোছা. রেহেনা পারভীনকে সভাপতি ও মুক্তা সুলতানাকে সাধারণ সম্পাদক, গোয়ালন্দ উপজেলায় শায়লা আক্তারকে সভাপতি ও সুলতানা পারভীন রেখাকে সাধারণ সম্পাদক এবং গোয়ালন্দ পৌর শাখায় সালমা আক্তারকে সভাপতি ও সুনিতা বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে জেলা যুব মহিলা লীগ। কিন্তু প্যাডে কোনো তারিখ উল্লেখ ছিল না। এরপর রাতে কমিটির ঘোষণাপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ওঠে সমালোচনার ঝড়। বিভিন্ন জন ফেসবুকে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার সেন্টি বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে সভাপতি একাই কমিটি দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আজ বিকেলে মানববন্ধনে আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় মানববন্ধন স্থগিত করি। এখন কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবো।
রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতী বলেন, সই জাল করে কমিটি দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। সমন্বিতভাবে কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন প্যাডে সম্পাদক যে সই করেছেন সেই ছবিও আমার কাছে আছে। এখন কী কারণে মিথ্যা অভিযোগ করছেন, সেটা তিনিই ভালো জানেন।
রুবেলুর রহমান/এসজে/জেআইএম