আহত কানাকুয়ার বাচ্চা উদ্ধার, ২ মাস পালনের পর অবমুক্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩

রাজবাড়ীতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা বিলুপ্ত প্রায় দুটি কানাকুয়ার বাচ্চাকে দুই মাস লালন-পালনের পর অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী বাড়ির পাশে পাখি দুইটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ।

অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পল্ট্রি ডেপোলাপমেন্ট অফিসার মেহেদী হাসান, সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী, পাখি দুইটি উদ্ধারকারী আশরাফুল আলম আক্কাস ও রক্তকন্যা খ্যাত সোনিয়া আক্তার স্মৃতি প্রমুখ।

জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে রাজবাড়ী সদরের খানগঞ্জের বেলগাছি স্টেশন এলাকায় বাসা ভেঙে মাটিতে পরে মারাত্মকভাবে আহত হয় সাতদিন বয়সী দুইটি কানাকুয়ার বাচ্চা। পরে পাখির বাচ্চা দুইটিকে স্থানীয় লালন ভক্ত আক্কাস উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য প্রাণিসম্পদ অফিসসহ ৯৯৯ এ ফোন যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। পরে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানালে তিনি কানাকুয়ার বাচ্চা দুইটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার তত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা করে। এরপর প্রায় দুই মাস লালন-পালন করে সুস্থ করে তোলেন। পাখির বাচ্চা দুইটি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় আজ অবমুক্ত করা হয়।

jagonews24

আরও পড়ুন: বন ছেড়ে লোকালয়ে লজ্জাবতী বানর

পাখি দুইটি উদ্ধারকারী আশরাফুল আলম আক্কাস বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমি পাখি ও অবহেলিত পাগলকে সুস্থ স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন। প্রায় দুই মাস আগে বেলগাছি স্টেশন এলাকায় দুইটি কানাকুয়ার বাচ্চাকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ না পেয়ে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তিনি বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে প্রায় দুই মাস লালন পালন করে সুস্থ করে আজ অবমুক্ত করলেন।

সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আহত পাখি সংগ্রহ ও সুস্থ করার কাজ করছি। এ কাজে আমাকে সহযোগিতা করছেন চারু-কারুর শিল্পী আবু আব্দুল্লাহ স্বপন ও অনন্ত সরকার। এই আহত পাখির বাচ্চা দুইটি উদ্ধার নিজের কাছে রেখে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন পাখি দুইটি সম্পূর্ণ সুস্থ। ফলে পাখি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অবমুক্ত করেছি।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রায় দুই মাস আগে বিলুপ্ত প্রায় কানাকুয়া পাখির বাচ্চা দুইটি উদ্ধার করে যত্ন সহকারে লালন-পালন করে সুস্থ করেছে। জাতীয় শোক দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ পাখি দুইটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে। ছোট সময় এই পাখি অনেক দেখা গেলেও এখন তেমন চোখে পড়ে না।

আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সুন্দরবনে চলছে দেদারসে মাছ শিকার

তিনি আরও বলেন, এরা প্রকৃতির বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গ পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রুবেলুর রহমান/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।