ছয় মাস ধরে অচল পার্বতীপুর রেল জংশনের ১৫ সিসি ক্যামেরা

এমদাদুল হক মিলন এমদাদুল হক মিলন , দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চার লাইনের চতুর্মুখি সংযোগস্থল দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের ১৫টি সিসি ক্যামেরা অচল হয়ে পড়ে আছে ছয় মাস ধরে। এতে করে প্রতিদিন ৫৪টি ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী ৩০ হাজার যাত্রীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।

গত ছয় মাস আগে অচল হয়ে পড়া সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।

পূর্বদিকে রংপুর, পশ্চিমে দিনাজপুর, উত্তরে নীলফামারী ও দক্ষিণে জয়পুরহাট। এই চার স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ৩৮টি আন্তঃনগর, ৬টি মেইল ও ১০টি লোকাল মিলে ৫৪টি ট্রেন পার্বতীপুর রলওয়ে জংশন স্টেশন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে।

প্রতিদিন এই ৫৪টি ট্রেনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী চলাচল করেন। বছরে যার যাত্রী সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮০ হাজার। বিশাল এই যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৬ সালে পার্বতীপুর জংশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এতে পার্বতীপুর রেল স্টেশনের ৫টি প্লাটফর্ম সিসি ক্যামেরার আওতায় আসে।

সেই থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতেন। পার্বতীপুর রেল স্টেশন মাস্টারের অফিস কক্ষ থেকে ক্যামরাগুলো পরিচালিত হতো।

ছয় মাস ধরে অচল পার্বতীপুর রেল জংশনের ১৫ সিসি ক্যামেরা

কিন্তু গত ছয় মাস ধরে সিসি ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে পড়ে আছে। এতে অপরাধ প্রবণতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে করে যাত্রীদের নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও অচল সিসি ক্যামেরাগুলো মেরামত কিংবা সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

পার্বতীপুর সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলেন, অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রেল জংশনে এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। প্রায় ছয় মাস হবে অচল বা সমস্যার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

ছয় মাস ধরে অচল পার্বতীপুর রেল জংশনের ১৫ সিসি ক্যামেরা

পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. রফিক চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন এই স্টেশনের ওপর দিয়ে গড়ে ৫৪টি ব্রড ও মিটার গেইজ ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। তাদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতো। অচল সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহব্যবস্থাপক (পশ্চিম/জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, বিষয়টা আমি জানি না। রেলের অনেক বিভাগ রয়েছে। কোন বিভাগে অভিযোগ করা হয়েছে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।