বেরোবিতে নিয়োগ

পরীক্ষার কথা আগেই জানতেন সেই জোবেদা, পেয়েছিলেন খুদেবার্তা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ এনে অনশন করেন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তার। তার অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে তার প্রতি অনিয়ম করা হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, খুদেবার্তা পাঠানো, ফোনে কল দেওয়া এবং ডাকযোগের মাধ্যমে জোবেদা আক্তারকে পরীক্ষার বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল। এসব বিষয়ের প্রমাণও রয়েছে। পরে ক্ষমাও চেয়েছেন জোবেদা আক্তার।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ১৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক পদে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম) জোবেদা আক্তার। তবে বাকি সব প্রার্থীদের পরীক্ষা গত ২১ সেপ্টেম্বর নিলেও তাকে জানানো হয়নি এমন অভিযোগ এনে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সিঁড়িতে অনশনে বসেন তিনি। অনশনের খবর পাওয়া মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান এবং জোবেদার সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার জন্য প্রক্টরের কক্ষে বসেন তারা।

এসময় খুদেবার্তা, ফোনে কল দেওয়া এবং ডাকযোগের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছে, এর সপক্ষে সব প্রমাণ দেখায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আলোচনার একপর্যায়ে ভুল স্বীকার করেন জোবেদা আক্তার। একইসঙ্গে লিখিত আকারে ক্ষমা চাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি এসব করতে চাননি, এগুলো করতে তাকে ইন্ধন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কার ইন্ধনে এমনটা করেছেন তা বলতে রাজি হননি জোবেদা।

কথাবার্তার একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ‘স্বামীর সঙ্গে কথা বলবো, একটু বাইরে থেকে আসতেছি’ এ কথা বলেই কক্ষ থেকে পালিয়ে যান জোবেদা আক্তার। পরে আশপাশে খোঁজ করে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জোবেদা আক্তারের মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জোবেদা মেয়েটি প্রক্টর অফিসে এসে কান্নাকাটি করে তার ভুল বুঝতে পেরে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।’

এ ঘটনায় কারও ইন্ধন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জোবেদা আমাদের জানায়, বন্ধু-বান্ধবদের প্ররোচনায় সে এমন করেছে।’

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।