বাজারে উঠেছে দিনাজপুরের কাটিমন আম, কেজি ৩২০
অডিও শুনুন
এখন আর আমের জন্য মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। অসময়ের কাটিমন আমে ছেয়ে গেছে দিনাজপুরের বাজার। যা এক সময় কল্পনাও করা যেত না। আর এ আম উৎপাদন হচ্ছে এ জেলাতেই।
দেখতে হলুদ রঙের আর আকারে লম্বা বেশ বড় ও সুস্বাদু এ আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। দাম বেশি হলেও অসময়ের এ ফলের স্বাদ নিতে ক্রেতার চাহিদাও বেশ ভালো।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দিনাজপুর পৌরশহরে বিভিন্ন মোড়ে ফলের দোকানে ও ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতাদের কাটিমন আম বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাহাদুর বাজার মোড়ে ফল কিনতে আসা জমির উদ্দিন বলেন, পরিবারের জন্য ফল কিনতে এসে আম দেখতে পেলাম। আকারে বেশ বড়, দেখতেও বেশ সুন্দর। আবার নাকি খুব মিষ্টি যার কারণে শুনেই কেনার ইচ্ছা হলো। তবে দামটা অনেক বেশি ৩২০ টাকা কেজি। এরপরও আধা কেজি কিনেছি।
পৌর সভার মোড়ের আরেক ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বাজারে আজকেই কাটিমন আম দেখলাম। দাম অনেক বেশি। তাই ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারলাম না।
ফল বিক্রেতা মো. হেলাল হোসেন বলেন, দিনাজপুরের সদর, বোচাগঞ্জ ও বীরগঞ্জে কাটিমন জাতের আম চাষ শুরু হয়েছে। সেই বাগানগুলো থেকে বাজারে আম আসছে। আমি সদর উপজেলার বাশেরহাট বাগান থেকে কিছু আম এনেছি। বাগান থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ, এর ওপর শর্টেজসহ আমে দাগ বা নষ্ট হওয়ার বিষয়ও আছে। সবকিছু হিসেব করে আমি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই ভাই মিলে চার মণ আম আনার পর বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা আছে ব্যাপক। আমটি সুস্বাদু এবং মিষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা কিনছেন। যারা একবার নিচ্ছেন তারা আবারও খুঁজছেন। অনেকে মোবাইলে অর্ডার দিচ্ছেন। আমরা বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।
আরেক ফল বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, একমণ আম নিয়ে সকালে বেরিয়েছিলাম। বিকেল ৩টার দিকে শেষ হয়ে গেছে।
বোচাগঞ্জের আম বাগানি জাকির হোসেন বলেন, কাটিমন আমের চাহিদা আছে। আড়তদাররা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ২০০-২৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি আম বিক্রি করছি। এখন মানুষ সারাবছর আম খেতে পারবে। যা আগে কখনো কেউ ভাবতেই পারেনি যে আশ্বিন মাসেও বাজারে আমা পাওয়া যাবে।
এসজে/এএসএম