শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎমায়ের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎমেয়েকে হত্যায় শারমিন আক্তার (৩৬) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ আদেশ দেন। শারমিন আক্তার উপজেলার মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে বিদেশি চলে যান। এ তিন সন্তানকে লালন পালন করতে শামীম মিয়া বিয়ে করেন শারমিন আক্তারকে। দুই ছেলে বড় হয়ে যাওয়ায় তারা সুমাইয়াকে (১২) রেখে ঢাকায় বসবাস করে ডিস লাইনের কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সুমাইয়ার মরদেহ ঘরে পাওয়া যায়। এ খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার মরদেহের গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এ ঘটনায় শারমিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূঁইয়া। এ মামলায় শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পরে এ মামলায় শারমিনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে যুক্তিতর্ক ও সাক্ষী জেরা শেষে বুধবার জেলা জজ শারমিন নিগার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শারমিন আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গ্রেফতারের পর হাজতবাসকালীন সময় কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।