আলোচিত রহিমা বেগম ‘অপহরণ’ মামলায় ৬ আসামিকে অব্যাহতি

দেশব্যাপী আলোচিত রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলায় সিআইডির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ছয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জামিরুল হায়দার।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাতে নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে আত্মগোপন করেন রহিমা বেগম। এ ঘটনায় পরদিন তার ছোট মেয়ে আদুরি আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় তাদের প্রতিবেশী মহিউদ্দিন, তার ভাই গোলাম কিবরিয়া, নুরুল আলম জুয়েল ও তার ভাই রফিকুল আলম পলাশ, হেলাল শরীফ ও রহিমার তৃতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রহিমা বেগমের কথিত অপহরণের পর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পোস্টারিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মাকে ফিরে পেতে মরিয়ম মান্নানের নাটকীয় আহাজারি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে রহিমাকে খুঁজে পায় পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা বেগম অপহরণের নাটক সাজান। তিনি নিজেই আত্মগোপন করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান এবং আরেক মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
পরে বাদী ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে আদালতে নারাজি পিটিশন দেন। এরপর আদালত সিআইডিকে মামলাটির পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। ১৭ জুলাই মামলাটির পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এমএস