চীন-মরক্কো-সৌদি আরব থেকে ১৭১৪ কোটি টাকার সার আনবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীন, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সার আমদানি করতে ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ টাকা খরচ হবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীনের ‘ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড’ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমাদনির প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে চীন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নবায়িত চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। আগের চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ১০ জানুয়ারি পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭৮ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৭২.৫০ ডলার।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা।

জানা গেছে, বিএডিসি মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নবায়িত চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। ইতঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ২ জুলাই পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫.৩৩ ডলার।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন টিএসপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা। প্রতি টন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫.৩৩ ডলার।

মরক্কোর এই প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩২০ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০.৩৩ ডলার।

এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে এই সার আমদানি করা হবে।

জানা গেছে, সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭২ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০.৩৩ ডলার।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ১১টি লটে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি এবং দেশীয় কারখানায় সারের ঘাটতি মোকাবিলায় আরও ৩ লাখ টনসহ মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতি টন ৪৩৫ ডলার হিসেবে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩৫ ডলার।

এমএএস/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।