লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলো টেকনাফ স্থলবন্দর


প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ০১ জুন ২০১৫

মে মাসে রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত মাসে ২১৪টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮ টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস সূত্র।

টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত মে মাসে এ স্টেশনের অধীনে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পুরো মাসে ২১৪টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮ টাকা আদায় করা সম্ভব হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ লাখ ২ হাজার ৯১২ টাকা কম আদায় হয়েছে। ৭৪টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৩ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮৪ টাকার পণ্য মিয়ানমারে রফতানি করা হয়। আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ টাকার পণ্য।

শুল্ক কর্মকর্তার মতে, শুল্ক স্টেশনে পণ্য আমদানি বাড়লে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পায়। গত মাসে আমদানি কম হয়েছে তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি।

তার মতে, বন্দরের রাজস্ব আদায়ে শুটকি আমদানির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গত মাসে শুটকি ও হিমায়িত মাছ আমদানি কম হয়। শুটকি কম আসায় এর প্রভাব রাজস্ব আয়ে পড়ে।

ব্যবসায়ীদের মতে, সাগর পথে মানবপাচারের কারণে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় মানুষের বধ্যভূমি উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। এ কারণে বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

বন্দরের স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখতে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হুমায়ূন কবির।

সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।