পেঁয়াজের দাম কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০২১
ফাইল ছবি

সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে আতঙ্ক ছড়ানোয় রাজধানীর বাসিন্দাদের অতিরিক্ত কেনাকাটার কারণে পেঁয়াজের দাম দুই দফা বাড়লেও এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমেছে। গত দুইদিনে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৫ টাকা এবং পাইকারিতে ৭ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন ভালো মানের হালি পেঁয়াজে ভরপুর। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা কম। যে কারণে দামও কমে গেছে। ক্রেতারা আবার অস্বাভাবিক আচরণ না করলে সহসা পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।

তারা বলছেন, লকডাউনের আতঙ্কে দুইদিন মানুষ প্রচুর পেঁয়াজ কিনেছেন। ক্রেতাদের বাড়তি ক্রয়ের কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। এ কারণে দাম বাড়ে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের খুচরা পর্যায়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। দু’দিন আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকা কেজি। অপরদিকে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮-২৯ টাকা, যা দু’দিন আগে ছিল ৩৫ টাকা।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় দু’দিন আমরা পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন পাইকারিতে দাম কমেছে। এ কারণে আমরাও দাম কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি।

রামপুরার ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, পেঁয়াজের দাম কখন কী হয় বলা মুশকিল। দু’দিন আগেই দু’দফা দাম বেড়ে কেজি ৪০ টাকা হয়েছিল। এখন আবার দাম কমে ৩৫ টাকা হয়েছে। দাম কমলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। দু’দিন ধরে পেঁয়াজের বিক্রি নেই বললেই চলে। এ অবস্থা থাকলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে।

বাড্ডার ব্যবসায়ী আলী ইমাম বলেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়েছি। আড়ৎ থেকে ৩৫ টাকা কেজি কিনে আনা পেঁয়াজ এখন ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। ৩৫ টাকা কেজি কেনা পেঁয়াজ এখনও এক মণের ওপরে রয়েছে। সামনে দাম কমে গেলে লোকসান আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, কঠোর লকডাউনের খবরে যেভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল, তাতে ধারনাও করতে পারিনি দু’দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। এমনি ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো না। এ পরিস্থিতে পেঁয়াজ কিনে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমাদের কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বাবু বলেন, পাইকারি বাজারে এখন যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, তার সবই হালি পেঁয়াজ। বাজারে ভালো মানের এই পেঁয়াজের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা খুব কম। এ কারণে দাম কমে গেছে।

তিনি বলেন, এর আগে লকডাউন আতঙ্কে ক্রেতারা বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন। যে কারণে এখন তারা পেঁয়াজ কিনছেন না। দু’দিন বাড়তি কেনার কারণে পেঁয়াজের একটু দাম বেড়ে ছিল। বিক্রি কমে যাওয়া দামও কমেছে।

পেঁয়াজের এই পাইকারি বিক্রেতা আরও বলেন, এখন পাইকারিতে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮-২৯ টাকা। রোজার আগে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়ার সম্ভাব না খুব কম। বরং কেজিতে দাম আরও এক-দুই টাকা কমতে পারে।

এমএএস/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।