মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট থেকে এলএনজি কেনার চুক্তি করলো বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩১ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার কোম্পানি আর্জেন্ট থেকে প্রতিবছর ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনানুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি কেনার চুক্তির কথা জানিয়েছে। রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন এ তথ্য।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বড় মার্কিন এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। উভয়পক্ষের মতে, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি খাতে সহায়ক নীতির প্রতি শিল্পের আস্থার প্রতিফলন।

ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প কার্যকরী আদেশের মাধ্যমে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এলএনজি রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করছে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এ ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যদি লুইসিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজির প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তবে এর কার্গোগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলায় সরবরাহ করা হতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুর-আরব আমিরাত থেকে আসবে দুই কার্গো এলএনজি
লাইন বা সিলিন্ডারে গ্যাস লিকেজ হলেই জানিয়ে দেবে ‘অগ্নি’ ডিভাইস

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এ চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পখাতের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সমস্যার সমাধান খুঁজছে এবং এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে দেশটি মূল্যের প্রতি সংবেদনশীল। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সস্তা কয়লা ব্যবহার পুনরায় শুরু করেছিল।

উল্লেখ্য লুইসিয়ানার আর্জেন্ট এলএনজি বছরে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি উৎপাদন সুবিধা নির্মাণ করছে।

এমইউ/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।