ঢাকা বোর্ড

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ করে সোয়া ২ লাখ আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৫
এবার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে/ ফাইল ছবি

 

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর ফলাফল খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম। এর প্রভাব পড়েছে এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে। অনেকে দুই বা তার বেশি বিষয়ের খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বোর্ডের তথ্যমতে, এবার বোর্ডটিতে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের কেউ এক বিষয়ে, কেউ দুই বা ততধিক বিষয়ে আবেদন করেছে। মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছে তারা।

গত বছর ঢাকা বোর্ডে এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছিল ৭১ হাজার ৩৪ জন। সেই হিসাবে এবার ২১ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী বেশি আবেদন করেছে। খাতা চ্যালেঞ্জের সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে এবার ৪০ হাজার ১২১টি বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কোন বিষয়ে কত আবেদন
এ বছর দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা গণিতে খারাপ ফল করেছে। এ বিষয়ে ফেলের হারও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বোর্ডেও গণিতে বেশি ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে। এ বোর্ডে শুধু গণিতের খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে ৪২ হাজার ৯৩৬টি।

এছাড়া ইংরেজি খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে ১৯ হাজার ৬৮৮টি, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি, বাংলায় ১৩ হাজার ৫৫৮টি। অন্যান্য বিষয়গুলোতেও অনেকে আবেদন করেছে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণে কী করা হয়
অনেকের ধারণা ফল পুনর্নিরীক্ষণে পুনরায় কোনো পরীক্ষক খাতা দেখেন এবং নম্বর দেন। এটি সঠিক নয়। পুনর্নিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর খাতা আবার মূল্যায়ন করা হয় না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। সেগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চার জায়গায় কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ১১ জুলাই থেকে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়, যা চলে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে এ ফল পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের ফলাফল পরিবর্তন হবে, তাদের এসএমএসের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংশোধিত ফল পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।