ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষক-সহপাঠীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ, এক শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ফাইল ছবি

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা এবং সহপাঠী ও শিক্ষকের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগে মেহেদী হাসান অভি নামে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর থেকে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিষয়টি জানাজানি হয়।

নোটিশের একটি কপি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘EEE309’ কোর্স চলাকালে মেহেদী হাসান অভি একাধিকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন। অনুমতি ছাড়া রেকর্ডিং এবং একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নিত করার মতো ঘটনায়ও তিনি জড়িত ছিলেন। এসব কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কমিউনিটির নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিনিষেধের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

নোটিশে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে সব ক্লাস থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামার ২০২৫ সেমিস্টারের (EEE309) কোর্সে এ ঘটনা ঘটে। কোর্সটি পরিচালনা করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. তৌহিদুর রহমান। বহিষ্কৃত ছাত্র মেহেদী হাসান অভির বিরুদ্ধে একাধিকবার ক্লাস চলাকালে চিৎকার-চেঁচামেচি, দরজায় লাথি মারা, শিক্ষককে হুমকি দেওয়া, অনুমতি ছাড়া লেকচার রেকর্ড করা এবং সহপাঠীদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে।

অভির দুজন সহপাঠী জানান, একবার সে ক্লাসে ঢুকে ফোন নিয়ে সোজা ড. রহমানের মুখের কাছে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার ভাষা ও আচরণ ছিল রীতিমতো ভয়ংকর, যেন কোনো রাস্তাঘাটের মাস্তান।

তারা আরও জানান, গত ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত একটি ক্লাসে ঘটেছে সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা। ওইদিন ‘ডিফিউশন’ বিষয়ে লেকচার চলাকালে মেহেদী হাসান ড. তৌহিদুর রহমানের ব্যক্তিগত বাঁশি নিয়ে সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি সহপাঠী ফারদিন রহমান, সানজিদ আহমেদ এবং নুসরাত জাহানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা মিললে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার বন্ধুদের কাছে থাকা তার মোবাইল নম্বর নিয়ে কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।