একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপে কলেজবঞ্চিত ১০৮২৬ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৫
ফাইল ছবি

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ কিন্তু এ ধাপেও কলেজ পাননি ১০ হাজার ৮২৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এসএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া এক হাজার ৪১৮ জন রয়েছে।

এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে একজন শিক্ষার্থীও না পাওয়া কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৩টিতে। আর প্রথম ধাপের মতো এ ধাপেও ১০টি কলেজে কেউ আবেদনই করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিজাউল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ৯৫ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেন। এছাড়া আগের ধাপে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদনও তাতে যুক্ত হয়। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৩০৬ জন।

ভর্তি কমিটির তথ্যমতে, আবেদন করা ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কলেজ পেয়েছেন। বাকি ১ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো কলেজ পাননি। দেশের বৈধ ৯৫ শতাংশ কলেজই শিক্ষার্থী পেয়েছে। বাকি ৫ শতাংশ কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এছাড়া প্রথম ধাপ শেষে ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী মাইগ্রেশন করে নতুন কলেজ পেয়েছেন।

অধ্যাপক রিজাউল হক জানান, শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ শেষ হয়েছে ২৫ আগস্ট। এ ধাপে সুযোগ পান মূলত যারা প্রথম ধাপে কোনো কলেজে আবেদন করেননি অথবা আবেদন করেও মনোনয়ন পাননি কিংবা মনোনীত কলেজ বাতিল করেছিলেন।

গত ২০ আগস্ট রাতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। ওই ধাপে মোট ২৫ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এরমধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছিল ৫ হাজার ৭৬৫ জন।

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের যা করণীয়

দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমেই তাদের ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ফি পরিশোধ করতে অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়েও নিশ্চায়ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

কেউ যদি দ্বিতীয় ধাপেও কাঙ্ক্ষিত কলেজ না পান, সে ক্ষেত্রেও তাকে প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। কারণ দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরুর আগে পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। সেখানে তারা পছন্দের কলেজ পেতে পারেন।


যে কারণে কলেজ পাননি জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা

একাদশে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেওয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দেন।

মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায় তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হন বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের করণীয়

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে একাদশে ভর্তি কমিটি ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৃতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করে। তবে আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবে।

এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।