লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এ প্রক্রিয়া চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি শেষে আসন শূন্য থাকলে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের উপ-পরিচালক ও ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মো. ইউনুছ ফারুকী।
চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচিতদের তালিকা থেকে ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে হবে। এরপরও আসন ফাঁকা থাকলে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে যত সতর্কতা
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভর্তির সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। যাচাইকালে শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মুল কপি, অনলাইন কপি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
ভর্তি নীতিমালায় থাকা কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না। নীতিমালা ও মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবর্হিভূতভাবে কাউকে ভর্তি করালে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান দায়ী থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। লটারির টেকনিক্যাল বা কারিগরি কাজ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম প্রকাশিত তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন।
আর বেসরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন।
তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
এএএইচ/এএমএ