অধিনায়ক নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে নোয়াখালীর এমডি এ কেমন মন্তব্য!
সকাল দেখেই নাকি বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে? বিপিএল শুরুর ঠিক ১৫ দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী মালিকপক্ষের কথা শুনেই বোঝা গেল এবারের বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অবস্থা!
অধিনায়ক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলে উঠলেন, ‘নো, নো, জাকের আলী অনিককে আমার পছন্দ না। জাকের আলী অনিকের চেয়ে আমি চাইবো মোহাম্মদ নবি ও কুশল মেন্ডিসকে।’
পর মুহূর্তে কোচের নাম বলতে গিয়েও ভুল করে বলে বসলেন আমাদের কোচ, ‘সুমন’ ভাই আছেন। পরে সাংবাদিকরা শুধরে দিলেন সুমন না সুজন। ওহ হ্যাঁ, খালেদ মাহমুদ সুজন। আমরা তার সাথে কথা বলবো ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে। তাকে আমরা সাজেশনও দিব।
একটা দলের এমডি সেই দলের হেড কোচের নাম জানেন না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘সুমন’ বলতে বোঝায় হাবিবুল বাশার সুমনকে। তিনি তো আর কোন দলের কোচিং প্যানেলে নন। তাহলে তার দলের কোচ কে? সেটাও তিনি জানেন না। আসল কোচের নামটা ভুল জানেন এবং তাকে তিনি সাজেশন দেবেন অধিনায়ক কাকে করা যায়?
একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি একবুক স্বপ্ন নিয়ে বিপিএলে প্রথমবার অনেক অর্থ ব্যয়ে দল সাজিয়েছেন; ভাল করার লক্ষ্যে। অধিনায়ক কাকে করা হবে? সেটা তাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করবে সেটাই স্বাভাবিক; কিন্তু সেই কথাটা ওপেন প্রেসের সামনে বলারও তো একটা ধরন থাকবে।
অথচ একই কথা, নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও বলে রেখেছেন এক সপ্তাহ আগে। জাগোনিউজের সাথে আলাপে দল ও কোচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুজন কি বলেছেন? শুনুন তার ভাষা, ‘আমার প্রথম ও প্রধান নির্ভরতা হচ্ছে যারা এক্সপেরিয়েন্স ক্যাম্পেইনাররা। সৌম্য, কুশল মেন্ডিস আর জোনাথন চার্লস এদের দিকেই আমার মূল ফোকাস। এদিকে মোহাম্মদ নবিও চলে আসছে। এরা এক্সপেরিয়েন্স ব্যাটার। জাকের আর অঙ্কনও ন্যাশনাল টিম খেলে ফেলছে। তারাও পরিণত।’
‘নবী আসাতে টিম ডেভেলপ হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সৌম্যকে ক্যাপ্টেন্সি দেয়ার পক্ষে। জাকের আলী অনিক যাতে চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারে, আমি কোচ হিসেবে সেটাই চাইবো। আমি জাকেরকে কোন বাড়তি চাপ দিতে চাই না। আমি চাই জাকের চাপমুক্ত হয়ে ফুরফুরে মেজাজে নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলুক। তাতে দল লাভবান হবে। আর সবার আগে দেখতে হবে সৌম্য ক্যাপ্টেন্সি করতে চায় কিনা ? যদি সৌম্য চায় আর সাথে ওনারা ( মালিক পক্ষ) চাইলে হয়ত সৌমই অধিনায়কত্ব করবে।’
দুজনার কথাবার্তাই বলে দেয় পার্থক্য কতটা? বুঝতে বাকি থাকার কথা না, অনেক ঘটা করে একে ওকে দেখে, অনেক কিছু যাচাই বাছাই করে তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেই ‘থোড়বড়ি খাড়া, আর খাড়া বড়ি থোড়।’ সামনের দিনগুলোয় আরও কি কি দেখা যাবে, সেটাই দেখার।
এআরবি/আইএইচএস/