ঈদ সার্ভিস : উত্তরাঞ্চল রুটে বড় যানজট নেই
এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের সবচেয়ে বেশি চাপ আজ (বৃহস্পতিবার)। রাস্তায় গাড়ির চাপও তাই অনেক বেশি। তবে সে তুলনায় রাস্তায় নেই যানজটরে খবর। এবার তাই মানুষ বড় যানজটের ধকলে না পড়েই গ্রামের বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে আশা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
বাস কাউন্টারগুলো সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত তারা বলার মতো যানজটের খবর পাননি। যেসব স্থানে বাস একটু দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সেখানে মূলত যানজটের কারণে নয় বরং সংকুচিত, ব্যস্ত কিংবা ভাঙ্গা রাস্তার কারণে।
গত বুধবার লাইলাতুল কদরের ছুটি থাকায় বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা সেরেছেন। আজ তাই অনেকে আধা বেলা অফিস করেই গ্রামের বাড়িতে ফেরার জন্য বেড়িয়ে পড়েছেন। সে কারণে অনেকেরই আশংকা রাস্তায় বড় যানজট দেখা দিতে পারে।
তবে সেরকম কোনো দুঃসংবাদ এখনো শুনতে হয়নি ঘরে ফেরা যাত্রীদের।(বৃহস্পতিবার) কাউন্টারগুলোতে এমন কর্মজীবী মানুষের সংখ্যাই যেন বেশি।
বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, অগ্রিম টিকিটের সময়ই বোঝা গেছে এই সময় ১৫, ১৬ ও ১৭ জুলাই কাউন্টারে মানুষের চাপ বাড়বে। কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে মূলত উত্তরাঞ্চল রুটে চলাচলকারী মানুষের সংখ্যাই বেশি। সকাল থেকেই তাই হাজার হাজার মানুষে ছুটে আসতে দেখা যায় বাস কাউন্টার গুলোতে।
শ্যামলী পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা আশরাফ আলী বলেন, আমাদের ৯টি রুটে সকাল সোয়া ৬টা থেকে এক ঘণ্টা পরপর বাস চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা কোথাও বড় যানজটের খবর পাইনি। আশা করছি যাত্রীরা এবার যানজটের ধকলে পড়বে না।
এসআর কাউন্টারের গাইবান্ধা রুটের টিকেট বিক্রেতা জানান, সকাল থেকে ১ ঘণ্টা পরপর বাস যাচ্ছে। যানজটে পড়লে সময় মেইনটেইন করা সম্ভব হতো না। রাস্তায় তেমন যানজট না থাকায় যথা সময়ে বাস চলাচল করছে।
রংপুরগামী আগমনী পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা শরফত আলী বলছেন, ঈদে গাবতলীতে টিকিট দেয়া হলেও উত্তরাঞ্চলে রুটের সব পরিবহনের বাসই কল্যাণপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যথা সময়েই বাস ছাড়ছে। ঘণ্টার বিরতিতে বাস যাচ্ছে।
যাত্রী সেবায় কাউন্টার গুলোর সামনে টাঙ্গানো হয়েছে সামিয়ানা। অতিরিক্ত চেয়ারও দেয়া হয়েছে। দূর থেকে যারা বাস কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছেন তাদের জন্যই মূলত সেবামূলক এমন পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কল্যাণপুর ও গাবতলীতে বসানো হয়েছে পুলিশে বক্স। সেখানে গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করেন যাচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
জেইউ/এসএইচএস/আরআই