করোনায় দেশে আটকা পড়েছে জার্মানি পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী
লকডাউন চলাকালে শিক্ষার্থী ভিসাকে জরুরি ও বিশেষ সেবার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জার্মানির ওটিএইচ অ্যামবার্গ উইডেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. নাজিম উদ্দিন জানান, দেশে প্রায় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা এখন অনলাইনে ক্লাস করছি। জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানানো হয়েছে, পরবর্তী সেমিস্টারে সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে স্ব স্ব ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। এর মধ্যে আমাদের সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। দাবি আদায়ে আমাদের যা যা করা দরকার তার সবই করতে হবে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।
নাজিম উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত এক বছরে প্রায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জার্মানির বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়ে গত তিন সেমিস্টার (সামার ২০২০, উইন্টার ২০২০/২১, সামার ২০২১) অনলাইনে ক্লাস করছে।
ইতোমধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই ব্লক অ্যাকাউন্টের ১১ লাখ টাকা জমা রেখেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে অনেকেই কয়েক লক্ষাধিক টাকা টিউশন ফিও জমা দিয়েছে। তাই প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ভিসা সাক্ষাৎকার ও ভিসা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় থাকলেও লকডাউনের আগে খুবই অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীই দূতাবাস থেকে তাদের ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক লকডাউন আরোপের কারণে অধিকাংশেরই ভিসা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে।
জার্মানিতে গত তিন সেমিস্টার অনলাইনভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হলেও আগামী সেমিস্টার থেকে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় সর্বাত্মক স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালিত না হলে যথাসময়ে ভিসা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হতে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান দূতাবাসের প্রতি লকডাউন চলাকালে শিক্ষার্থী ভিসাকে জরুরি ও বিশেষ সেবার আওতায় আনার দাবি জানান।
এমএইচএম/এআরএ/জিকেএস