বইমেলায় নেই ডাস্টবিন, যত্রতত্র আবর্জনায় অতিষ্ঠ দর্শনার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বইমেলায় লেকের পাশে পড়ে আছে বিরিয়ানির প্যাকেট, ওয়ান টাইম প্লেটসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট

অমর একুশে বইমেলার আজ (শনিবার) তৃতীয় দিন। এবারের বইমেলার সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব এককভাবে বাংলা একাডেমির। এখনো চলছে মসজিদ, খাবার হোটেল নির্মাণকাজ। অন্যদিকে, মেলায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বসানো হয়নি ডাস্টবিন। এতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দর্শনার্থী ও পাঠকরা।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে কোথাও বিন পাওয়া যায়নি। উদ্যানের লেকের পাশে পড়ে আছে বিরিয়ানির প্যাকেট, ওয়ান টাইম প্লেট, কফির মগসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট। ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের এসব প্লেট পড়ে আছে পানিতেও। এছাড়া কিছু স্টলের পাশে ব্যাগ ও বস্তায় আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> বইমেলায় ডিএমপির স্টল পরিদর্শন ও বই কিনলেন প্রধানমন্ত্রী

জাগৃতি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, অন্যবার তো ডাস্টবিন দেখি। এবার এখনো কোনো ডাস্টবিন বসানো হয়নি। আমাদের স্টলের ভেতরে একটা বালতি আছে, সেখানে ময়লা রাখি। সন্ধ্যায় এসে হয়তো ময়লা কেউ নিয়ে যাবে।

jagonews24বইমেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী

নওরোজ প্রকাশনীর নাঈমুর রহমান বলেন, কোথাও তো ডাস্টবিন নেই। যে যেখানে পারছে উচ্ছিষ্ট ফেলছে। অনেক দর্শনার্থী এসে আমাদের জিজ্ঞেস করছেন, ময়লা ফেলবেন কোথায়? এভাবে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

মেলায় আসা দর্শনার্থী কবির হোসেন বলেন, ময়লা ফেলার জন্য কোথাও তো কোনো বিন দেখছি না। চিপসের প্যাকেট ও পলিথিন যেখানে সেখানে পড়ে আছে।

আরও পড়ুন>> বইমেলায় নজর কাড়ছে রিকশাচিত্রে আঁকা নান্দনিক স্টল

দর্শনার্থী মো. ইকবাল বলেন, দুপুরে এসে মেলায় কফি খেয়েছি। কিন্তু ওয়ানটাইম কফি মগ কোথায় ফেলবো, দুই মিনিটে খুঁজে বিন পাইনি। পরে মঞ্চের পাশে ফেলেছি। বিভিন্ন জায়গায় কাঠ ও রং পড়ে আছে। এতে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

jagonews24স্টলের পাশে ব্যাগ ও বস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর বাংলা একাডেমি একাই মেলার আয়োজন করছে। কোনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দায়িত্ব দেয়নি। মেলা কর্তৃপক্ষ এখনো সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারেনি। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টলকর্মীরাও ময়লা পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে রেখে আসছে।

আরও পড়ুন>> ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে অধিকার আদায় শিখিয়েছে: তাজুল ইসলাম

অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা হয় মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক কাজ বাকি। আগামীকাল থেকে ডাস্টবিন থাকবে।

আরএএস/এমএএইচ/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।