‘টয়লেটে পা রাখতেই বেরিয়ে আসছেন মেয়েরা’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২০

টয়লেটে পা রাখতেই বিপত্তি! বাথরুমের দরজা খোলা ভিতরের দিকে। একপাশে বড় হরফে লেখা ‘ইউনি সেক্স টয়লেটস’। কিন্তু বাইরে থেকে সেটা নজরে আসছে না। ফলে অবাক হয়ে যেতে হয় নতুন কোনো আগন্তুককে।

একই অবস্থা হয়েছিলো অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের। ‘টয়লেটে পা রাখতেই ভেতর থেকে দেখি নানা বয়সের মেয়েরা বেরিয়ে আসছেন!’- বললেন অভিনেতা।

বিজ্ঞাপন

লন্ডনে থেকে আনন্দবাজারকে দেয়া এক আলাপচারিতায় বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘টয়লেট যাব। কোথায় বাথরুম? কী জ্বালা! দেখি ওই টয়লেট। নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য নিলাম। তারাও ওই টয়লেটেই যেতে বলেন। এক সময় মনে হল, ওরা কি আমায় ‘মহিলা’ বলে ভুল করছেন? আবার টয়লেটের সামনে যেতেই বেরিয়ে এলেন একজন বয়স্ক মানুষ! ভেতরে ঝুঁকে উঁকি দিতেই উপলব্ধি করলাম লন্ডনে সব টয়লেট ইউনিসেক্স। নারী-পুরুষ লিঙ্গ ভেদটাই নেই। কত উদার! সবাই সব কিছু কত অনায়াসে ব্যবহার করেন।’

সাধারণত সব জায়গাতেই স্ত্রী আর পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা। এই অভ্যাসে যারা অভ্যস্থ তারা লন্ডনের এই সিস্টেমে একটু ভড়কে যাবেন স্বাভাবিক। বিস্মিত রুদ্রনীল ইনস্টাগ্রামেও নিজের কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থার ছবি পোস্ট করে সেটারই জানান দিলেন। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘লন্ডন ও নিরীহ বাঙালি’!

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রুদ্রনীল শেয়ার করলেন লন্ডনে তার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও। দুই সপ্তাহ আগে ‘স্বস্তিক সংকেত’ ছবির জন্য লন্ডনে গিয়েছেন। শুটিং স্পট ১৮ শতকের কাটিশার্ক জাহাজ। লন্ডনের ঘড়ি অনুযায়ী ভোর ৬-৭টার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছেন সবাই স্পটে। রহস্য রোমাঞ্চ ছবি। ফলে প্রচুর দৌড়-ঝাঁপ করে কাজ করতে হচ্ছে।

শুটিংয়ের ফাঁকে লন্ডন ঘুরে দেখছেন অভিনেতা। দেখে ফেলেছেন অক্সফোর্ড চত্বর, সমস্ত জাদুঘর। দেখেছেন কাশফুলও! আরও একটা জিনিস খুব ভাল লেগেছে রুদ্রনীলের। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘লন্ডন পৌরসভার নিয়মে ওখানে বাড়ি তৈরির তিনটি স্ট্রাকচার। সেই স্থাপত্য মেনে বাড়ি বানাতে হবে। ফলে, শহরের সমস্ত বাড়ির গঠন এক। ‘এই দেখ আমার বাড়ি’ বলে দেখনদারির কোনো সুযোগই নেই। আর সব বাড়ির রং সাদা-বাদামি।’

রাস্তায় যান-বাহনের রংও চোখের পক্ষে ভীষণ আরামদায়ক। সাদা, ধূসর আর কালো। একমাত্র সরকারি দোতলা বাসের রং লাল!

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এলএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।