আলিয়ঁসে শুরু হলো অনুভূত আলো আঁধার-২


প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে ‘অনুভূত আলো আঁধার-২’ শীর্ষক গ্রুপ চিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে দো ঢাকার ক্যাফে-লা-ভেরান্দায় প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম।

তারসঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি শিল্প সমালোচক সামসুল ওয়ারেস। আঁলিয়স ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার পরিচালক জনাব ব্রুণো প্লাস সম্মানিত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

‘অনুভূত আলো আঁধার-২’ শীর্ষক গ্রুপ চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীরা হলেন শিল্পী রশিদুল আলম, আল- আখির সরকার, মো. আজমল হোসেন, সৈয়দ ফিদা হোসেন, সুলতান ইশতিয়াক। পাঁচ শিল্পীর আঁকা প্রায় ৩০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। তাদের ছবিগুলোতে শৈল্পিকভাবে প্রাকৃতিক আলো এবং আঁধারের মাধ্যমে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে সুখ এবং দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে। এই শিল্পকর্মে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা আলো এবং অন্ধকারের মৌলিক প্রকৃতি চমৎকার শৈলী এবং নকশার ব্যবহার করে এটিকে একটি সুষম চিত্রকর্মে রূপ দিয়েছে।   

আলো এবং অন্ধকারের দৃঢ় ভারসম্যের মাধ্যমে এই চিত্রকর্মগুলোতে আলো এবং অন্ধকার পরস্পরের উপর নির্ভর উপাদান হয়ে উঠে যা আবেগীয় এবং এটি চিত্রকলার উপাদানসমূহের মধ্যে নিহিত।

এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পী রশিদুল আলমের কিছু চিত্র কর্ম তার নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায়শই তিনি ভালবাসা, স্নেহ এবং সুখে আবদ্ধ হন যা তার শৈশবকে দোলা দেয়।   আল-আখির সরকার তার আঁকা চিত্রকর্মে চিরাচরিত বাঙ্গালীর অনুভুতি গুলোকে স্থান দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত এবং ভেতরের অনুভূতিকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন যেখানে ঐতিহ্য, অনুভূতি, ধর্মীয় আচরণ, চিন্তা, স্বপ্ন, এবং সমগ্র বাংলার ছবি বিদ্যমান।

মো. আজমল হোসেনের চিত্রকর্মগুলো জীবন সংগ্রাম তুলে ধরে। আমরা আমাদের প্রয়োজন এবং স্বপ্ন সম্পর্কে গল্প সৃষ্টি করি যা কখনও কখনও আমাদেও খুশি করে এবং কখনও কখনও আমাদেরকে বিপর্যস্ত করে আমাদের প্রত্যাশার বহিপ্রকাশ ঘটায়। ব্যক্তির অন্বেষণ সৈয়দ ফিদা হোসেনের কাজের একটি অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের দৈনন্দিন হতাশার যান্ত্রিক জীবনের কাছে আবদ্ধ এবং আমরা আমাদের ভেতরের অস্তিত্ব হারিয়ে কখনও কখনও অবচেতন মনে নিজেদেরকে খুঁজি। এটা মানুষের অস্তিত্বেও একটি রহস্যময় যাত্রা যা শিল্পী ফিদার কথায় ‘মানবতা’।’

সুলতান ইশতিয়াকের চিত্রকর্মের বিষয় হল প্রকৃতির সৌন্দর্যের বিরুদ্ধে সমাজের কঠোর বাস্তবতা, বিকৃত বাড়িঘর, ঐতিহাসিকভবন, বুড়িগঙ্গা নদীর বড় বড় জাহাজ, উজ্জ্বল আলোমাঝি, নিপীড়িত মানুষ এবং তাদেও নিয়মিত জীবনের কাজ, উজ্জ্বল আলো মাঝির অপেক্ষা, ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম এবং ধসে যাওয়া বাড়ির আহত মানুষ।

প্রদর্শনীটি চলবে ৮ ই মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রদর্শনী। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।