আর্ন্তজাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস

দুর্নীতি বন্ধে আমরা কী করছি?

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
একটি উন্নত বিশ্বের জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ

ড.ফোরকান আলী
‘একটি উন্নত বিশ্বের জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ’। এ প্রতিপাদ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধের শপথে আজ ৯ ডিসেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সংহতি (ইউএনসিএসি) ঘোষিত এ দিনটি ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দুর্নীতির কারণে গত তিন বছরের ব্যবধানে দারিদ্র‍্য কমেনি। উল্টো বেশ বেড়েছে। দেশে এখন দারিদ্রের হার ২৭ দশমিক ৯৩ বা প্রায় ২৮ শতাংশ। সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসি গবেষণায় দারিদ্র‍্য বৃদ্ধির এই চিত্র উঠে এসেছে। ‘ইকনোমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউজহোল্ড লেবেল ইন মিড ২০২৫’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

পিপিআরসির গবেষণা অনুসারে অতি দারিদ্র‍্যরে হারও বেড়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালের অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ৫ দশমিক ৬। ২০২৫ সালে এসে অতি দারিদ্র‍্য হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫এ। এর মানে হলো, গত তিন বছরের মধ্যে দেশের দারিদ্র‍্যরে হার বেড়েছে। এখনো ১৮ শতাংশ পরিবার যে কোনো সময় গরিব হয়ে যেতে পারে। গত মে মাসে ৮ হাজার ৬৭টি পরিবারের ৩৩ হাজার ২০৭ জন ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়।

চলমান তিন সংকটের প্রভাব
পিপিআরসি বলেছে, দেশের এখন তিন ধরনের সংকটের প্রভাব চলমান আছে। এগুলো হলো কোভিড (২০২০-২০২২), মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। পিপিআরসি আরও বলেছে, গত বছরের আগস্টের পর ঘুষ কমলেও তা বন্ধ হয়নি। গত বছরের আগস্ট মাসের আগে গবেষণায় মতামত প্রদানকারীদের ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ সেবা নিতে ঘুষ দিয়েছেন। আগস্ট মাসের পর এই হার ৩ দশমিক ৬৯ এ নেমেছে। সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিসে। এরপরে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের বেশি ঘুষ দিয়েছে মানুষ।

শহরের পরিবারে খরচ বেড়েছে
পিপিআরসি গবেষণায় দেখা গেছে, তিন বছরের ব্যবধানে শহরের পরিবারের মাসিক আয় কমেছে, কিন্তু খরচ বেড়ে গেছে। শহরের একটি পরিবারের গড়ে মাসিক আয় ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা। খরচ হয় ৪৪ হাজার ৯৬১ টাকা। ২০২২ সালে শহরের একটি পরিবারের মাসিক গড় আয় ছিল ৪৫ হাজার ৫৭৮ টাকা। অন্যদিকে গ্রামের পরিবারের গড় আয় কিছুটা বেড়েছে। গ্রামের একটি পরিবারের গড় আয় ২৯ হাজার ২০৫ টাকা, খরচ ২৭ হাজার ১৬২ টাকা। ২০২২ সালে গ্রামের পরিবারের গড় আয় ছিল ২৬ হাজার ১৬৩ টাকা। সার্বিকভাবে জাতীয়ভাবে একটি পরিবারের মাসে গড় আয় ৩২ হাজার ৬৮৫ টাকা। খরচ হয় ৩২ হাজার ৬১৫ টাকা। সঞ্চয় নেই বললেই চলে।

খাবারে খরচ প্রায় ৫৫ শতাংশ
একটি পরিবার কোন খাতে কত খরচ করে, এর একটি চিত্র দিয়েছে পিপিআরসি। সেখানে দেখা গেছে, একটি পরিবারের মাসের মোট খরচের প্রায় ৫৫ শতাংশ চলে যায় খাবার কেনায়। একটি পরিবার খাবার কিনতে মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা খরচ করে। এছাড়া প্রতি মাসে শিক্ষায় ১ হাজার ৮২২ টাকা, চিকিৎসায় ১ হাজার ৫৫৬ টাকা, যাতায়াতে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা ও আবাসনে ১ হাজার ৮৯ টাকা খরচ হয়।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারও সংগত কারণে ক্ষুদ্র অর্থনীতির তুলনায় সামষ্টিক অর্থনীতিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। অর্থনীতির পরিকল্পনায় জনমুখী দৃষ্টি (পিপলস লেন্স) থাকা খুবই জরুরি হয়ে গেছে। শুধু জিডিপির ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। তাদের গবেষণায় আরও দেখা যায়, বর্তমান বাস্তবতায় পাঁচটি নতুন ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার।

প্রথমত, আমাদের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী রোগের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। ক্রনিক রোগ মোকাবিলার জন্য একটি নতুন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, নারীপ্রধান পরিবারগুলো সমাজের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে আছে, তাই এদের বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, ঋণের বোঝা বাড়ছে, যা একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠছে। চতুর্থত, ক্রমবর্ধমান খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। এটি এখনো ব্যাপক আকারে হয়নি, তবে ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং যা উদ্বেগজনক। পঞ্চমত, স্যানিটেশন সংকট উত্তরণ করে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের হাতে মাত্র পাঁচ বছর আছে, কিন্তু এখনো প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ নন-স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার করছে। ফলে নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কর্মসংস্থান নিয়ে পিপিআরসির দাবি, আমাদের মাঝে এখন কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেকারত্বের দুর্যোগের বাস্তবতার মধ্যে আমরা অবস্থান করছি। কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ধরনের ভাবনা এবং জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন। এ বিষয়ে এখনই আমাদের আলোচনা এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি দুর্নীতি দূর করতে হবে। দুর্নীতি দূর না করতে পারলে দারিদ্র‍্য হটবে না। বাংলাদেশ এরই মধ্যে দারিদ্র‍্য দূরীকরণে বেশ সাফল্য দেখালেও সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে দারিদ্র‍্য হ্রাসের হার টেকসই করা যাচ্ছে না। প্রবৃদ্ধির সাফল্য যেমন সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না, তেমনি বিভিন্ন দুর্যোগে দারিদ্র‍্য আবার বেড়েও যায়। শুধু তা-ই নয়, অতি দরিদ্রের সংখ্যাও বেড়ে যায় বা নতুন করে লোকেরা দরিদ্র, এমনকি অতিদরিদ্রও হয়ে যাচ্ছে। এটির কারণ হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূ-রাজনৈতিক কারণকে দায়ী করা হলেও অনেকেই জোরেশোরে বলছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য না এলে দারিদ্র‍্য হ্রাসের প্রক্রিয়া টেকসই হবে না। সরকারের সাহায্য বা সুযোগ বণ্টনে বৈষম্য বরং দারিদ্র‍্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে।

সংগত কারণেই গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে, অনেক সরকার বিদায় নিয়েছে। এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, কেউবা এশিয়ার উদীয়মান শক্তি হওয়ার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মৌলিক যে অধিকার-অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি। দেশের ব্যক্তি খাতের আপাতবিকাশ ও সাফল্যে শহর-নগরে কোথাও কোথাও গতি, প্রবৃদ্ধি আর সেবার মান বাড়লেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের দৃশ্যমান উন্নতি লক্ষণীয় নয়। তদুপরি অধিক জনসংখ্যা, দুর্বল সড়ক-জনপথ পরিকল্পনা, জমির ব্যবহার নীতির দুর্বলতা আর বিচার না পাওয়ার সংস্কৃতি মানুষের জীবনকে প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এখনো দেশের এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র‍্যসীমার নিচে বাস করছেন।

গবেষণা মতে, মূলত ২০২০-২০২২ সালের করোনা মহামারি, মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। করোনার প্রভাব অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার এখনো অনেক বেশি। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না। বিনিয়োগ না বাড়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাচ্ছে, অথচ প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী কর্মবাজারে প্রবেশ করছেন। শিক্ষার মানের অধোগমনও এখানে প্রভাব ফেলছে। বিগত সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতিতে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও লুটপাট চলছিল, তা জনজীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখনো ভালো বলা যাবে না।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি। যেখানে সাধারণ মানুষকে খাদ্যপণ্যের পেছনে আয়ের ৫৫ শতাংশ ব্যয় করতে হয়, সেখানে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকার অন্যান্য উপকরণের জোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। খাদ্যপণ্যের মতো পরিবহন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয়ও বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে; যদিও সেই অনুপাতে আয় বাড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার দারিদ্রের হার কমাতে টেকসই পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু গত এক বছরে তাদের নীতি-পরিকল্পনায় সে রকম ছাপ দেখা যায়নি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো গতানুগতিকভাবে চলছে। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে থেকে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা পুরোপুরি চলে গেছে, তা বলার মোটেই সুযোগ নেই।

দুঃখজনক হলো দুর্নীতি দূরীকরণে কাউকে এখন পর্যন্ত জোরে শব্দ করতে শোনা যায়নি। বাংলাদেশে দুর্নীতি কমানো সম্ভব এটা অনেকে সম্ভবত বিশ্বাসও করেন না। সাঁড়াশি অভিযানের জোর সম্ভবত ভোঁতা হয়ে গেছে কিংবা কাজ করানোতে কারো উৎসাহ নেই। অথচ আমরা জানি, দুর্নীতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। অনেকেই বলেছেন, দারিদ্র‍্য বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের উদ্যোগ কম কিংবা উদ্যোগ থাকলেও সাধ্য নেই। তদুপরি সামাজিক সুরক্ষায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা-ও সব সময় উপযুক্ত ব্যক্তি পান না। স্বার্থান্বেষী মহল হাতিয়ে নেয়। প্রচুর দুর্নীতি হয়। গরিবের হক ধনীরা মেরে খায়।

অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় তাদের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া কতটা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে সংশয় আছে। কিন্তু সরকার অন্তত স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারত, যাতে দারিদ্রের হার কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব আছে। দলগুলোর নেতৃত্ব রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে মাসের পর মাস দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলেও জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যার বিষয়ে সীমাহীন উদাসীনতা দেখিয়ে আসছেন। রয়েছে চিন্তার সক্ষমতার বিষয়টিও।

দারিদ্র‍্য বিমোচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি ও নীতি-পরিকল্পনা কী, সেটা জানার অধিকার নিশ্চয়ই নাগরিকদের আছে। সেই সঙ্গে আরও দুঃখজনক হলো দুর্নীতি দূরীকরণে কাউকে এখন পর্যন্ত জোরে শব্দ করতে শোনা যায়নি। উপরিউক্ত গবেষণাতেই বলা হয়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা পুষ্টিতে পিছিয়ে পড়ছে দরিদ্র মানুষ। তাদের জন্য বরাদ্দ অর্থের অনেকটাই তাদের কাছে পৌঁছায় না। অন্যদিকে সরকারের আয় কম বলে বরাদ্দও কম। রাজনৈতিক বন্দোবস্তও তাদের পক্ষে নয় বা থাকে না। অধিকতর আয়বৈষম্য তাদের ওপর করালগ্রাস হিসেবে কাজ করে। তাই বলাই যায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই টেকসই না হলে দারিদ্র‍্য হ্রাসও দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

আরও পড়ুন
পাঁচ শতাব্দীর ভূকম্পনের ইতিহাস
অনেকেই ভূমিকম্প টের পান না, কিন্তু কেন?

লেখক: গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।