লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলায় ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
পহেলগামে হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন ভারতীয় সৈন্যরা/ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করেছেন যে, লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলার জন্য ভারত দায়ী। দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই গত রোববার (২৭ এপ্রিল) তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর ডনের।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের একটি দল লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশন ভাঙচুর করেছে। ভবনের বাইরের দিকে গেরুয়া রঙ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারী পাকিস্তানি মিশনের বাইরে জড়ো হয়েছিল এবং হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন যে ভারত তাদের ‘চরমপন্থি আদর্শ’ ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিদেশি মিশনে আক্রমণ করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে।

তিনি বলেন, লন্ডনে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের হাইকমিশনে দুবার আক্রমণ করা হয়েছে এবং পাথর ছোঁড়া হয়েছে। যারা দায়ী তাদের বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থা এবং ভারত সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই ঘটনা ‘ভারতের রাষ্ট্রীয় মানসিকতার’ ফসল।

তিনি কানাডায় শিখ নেতাদের হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, আপনি যদি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ হত্যা করতে পারেন তাহলে কয়েকটি বিদেশি মিশনে আক্রমণ করা থেকে আপনাকে কেউই থামাতে পারবে না। এর আগে কানাডায় এক শিখ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগ ওঠে। ওই সংবাদ সম্মেলনে পহেলগাম হামলার ঘটনা ভারতের দুর্বলতার কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আতাউল্লাহ তারার।

ভারত শুরু থেকেই এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে কি বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে? আপনাদের কাছে কি এমন কোনও যুক্তি আছে যার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়?

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।