তীব্র পানি সংকটে গাজার বাসিন্দারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ২৬ মে ২০২৫
গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল/ফাইল ছবি: এএফপি

গাজায় তীব্র পানির সংকটে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনিদের জীবন। সেখানে ঠিকমতো খাবার পৌঁছাচ্ছে না, ওষুধ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না এমনকি একটু ঠাঁই নেওয়ার মতো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে খুঁজেও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে অসহায় মানুষগুলো। তারা কোথায় যাবে, কি করবে, কিছুই জানা নেই।

একদিকে খাবার-পানির তীব্র সংকট অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার আতঙ্ক। এভাবেই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটছে ফিলিস্তিনিদের।

প্রতিনিয়ত গাজার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের। তারপরেও একটু নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। গাজার কোনো স্থানই এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ না। কারণ সর্বত্রই ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে।

যুদ্ধের কারণে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় যেসব অকাঠামো থেকে পানি সরবরাহ করা হতো সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ তীব্র পানি সংকটের ঝুঁকিতে পড়েছে।

সেখানে এখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ করে ইসরায়েল ‌‌‘গণহত্যার মতো কাজ’ করছে বলে গত বছর অভিযোগ এনেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এদিকে গাজায় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় রেড ক্রসের দুই কর্মী, এক সাংবাদিক এবং বেশ কয়েকজন শিশুও নিহত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে জানিয়েছে যে, গাজায় ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টির সম্মুখীন। এরই মধ্যে চার বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন নামের একটি শিশু খাদ্যের অভাবে মারা গেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার থেকে ইসরায়েল গাজায় মাত্র ১০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। গাজায় যে পরিমাণ খাদ্য সরবাহ করা প্রয়োজন তার তুলনায় এটা খুবই সামান্য।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫৩ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন আহত হয়েছে। তবে সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ এখন আর বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।