২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ১২ জুন ২০২৫
গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল/ ছবি: এএফপি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় এখনো প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে বহু মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলের গুলিতে ৫৭ জন নিহত এবং ৩৬৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। সেখানকার বেশ কিছু ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালনা করছে। এ নিয়ে শুরু থেকেই বেশ সমালোচনা এবং বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গণহত্যা এবং চরম মানবিক হতাশার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও জিএইচএফের ত্রাণ ব্যবস্থাকে ‌‘নাটকীয় সাফল্য’ হিসাবে বর্ণনা করছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই কার্যক্রম নিয়ে সারাবিশ্ব জুড়েই সমালোচনা হচ্ছে।

গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের পরিবারের জন্য সামান্য খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে রাফাহ এবং নেটজারিম করিডোরে স্থাপিত বিচ্ছিন্ন এই সাহায্য কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তাদের সৈন্যরা নেটজারিম করিডোর এলাকায় ‘সতর্কীকরণ’ হিসেবে ‘গুলি’ চালিয়েছে। সেখানে রাতের বেলায় বেশিরভাগ ত্রাণপ্রার্থী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এবং খাদ্যের সন্ধানে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করে গাজা উপত্যকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

জাতিসংঘও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে এবং এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাহায্য সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।