কানাডাজুড়ে ৪৭০’র বেশি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৫
কানাডায় দাবানল/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

কানাডায় ২০২৫ সালের দাবানল মৌসুম এরই মধ্যে দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ মৌসুমে পরিণত হয়েছে। শত শত দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগুনের সময়কাল ও তীব্রতা বাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কানাডিয়ান ইন্টারএজেন্সি ফরেস্ট ফায়ার সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এরই মধ্যে ৭৩ লাখ ১৮ হাজার ৪২১ হেক্টর এলাকা দাবানলে পুড়ে গেছে, যা গত পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় প্রায় ৭৮ শতাংশ বেশি।

বর্তমানে দেশটিতে ৪৭০টিরও বেশি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

২০২৫ সালের দাবানল মৌসুম মাত্র ২০২৩ সালের বিপর্যয়ের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তখন ১৭.২ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা পুড়ে গিয়েছিল, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।

থম্পসন রিভারস ইউনিভার্সিটির গবেষক মাইক ফ্লানিগান বলেন, এটাই আমাদের নতুন বাস্তবতা। তাপমাত্রা যত বাড়বে, দাবানল তত বাড়বে।

জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাপানের শিবুয়াতে অবস্থিত) এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চলতি বছরের দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। বসন্তে উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি করেছে।

ফ্লানিগান জানান, উষ্ণ আবহাওয়া দাবানলের মৌসুম দীর্ঘ করে। বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ায়, যা দাবানলের অন্যতম কারণ।

এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হয়েছে সাসকাচোয়ান ও ম্যানিটোবা প্রদেশে। সাসকাচোয়ানে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ ও ৬ হাজার ৭০০’র বেশি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে কানাডিয়ান রেড ক্রস।

এছাড়া দাবানল এখন কানাডার পূর্ব উপকূলেও ছড়িয়ে পড়েছে। নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডর প্রদেশে দাবানল জ্বলছে এবং অনেক শহরে বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।