গ্রিসে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন পাস
গ্রিসের পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। এতে প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান এবং নিজ নিজ দেশে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চলতি বছর দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির সরকার অভিবাসন নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
২০১৫-২০১৬ সালের অভিবাসন সংকটে গ্রিস ছিল ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলোর একটি। তখন মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধ ও দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইউরোপে প্রবেশ করেছিল।
পরে অভিবাসন প্রবাহ কিছুটা কমলেও, চলতি বছরে লিবিয়া থেকে ক্রিট এবং গাভদোস দ্বীপপথে আগত অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে গ্রিস সরকার উত্তর আফ্রিকা থেকে আগতদের জন্য সাময়িকভাবে নতুন আশ্রয় আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেসব অভিবাসী ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক নিরাপদ ঘোষিত তৃতীয় দেশ থেকে গ্রিসে প্রবেশ করেছেন এবং আশ্রয়ের যোগ্য নন, তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে অথবা অন্তত ২৪ মাস আটক থাকার পাশাপাশি ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
এই আইন গ্রিসের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের সরকারের অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করেছে। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার প্রশাসন দেশের উত্তরের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে এবং সাগরে টহল জোরদার করেছে, যেন অভিবাসীরা গ্রিসে প্রবেশ করতে না পারে।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই আইনের সমালোচনা করে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে এমন অভিবাসীদের শাস্তি দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি দ্রুততর আশ্রয় প্রক্রিয়া চালু করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে শরণার্থী এবং অশরণার্থীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
গ্রিস সরকার জানিয়েছে, জুলাই মাসে আশ্রয় আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করার পর শত শত অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং চলতি মাসে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মিশরে আরও অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম